ভোট চাইতে গিয়ে ধাওয়ার মুখে এপিএস শফিউদ্দিন

ফরিদপুরের নগরকান্দায় স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী শাহ জামান বাবুলের পক্ষে ভোট চাইতে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের ধাওয়ার মুখে পড়েন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) শফিউদ্দিন চৌধুরী। গত মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের কুঞ্জনগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে শফিউদ্দিন রামনগর ইউনিয়নের কুঞ্জনগর বাজারে আসেন। তিনি প্রথমে ওই বাজারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী শাহ জামানের (আনারস) কয়েকজন সমর্থককে নিয়ে সভা করেন। খবর পেয়ে সেখানে ৫০-৬০ জনের একটি দল যায়। তাঁরা শফিউদ্দিনের ওপর চড়াও হন। তাঁকে মারধর করার চেষ্টা করা হয়। একপর্যায়ে শফিউদ্দিন ধাওয়া খেয়ে কুঞ্জনগর বাজার জামে মসজিদের মাঠে আশ্রয় নেন। ওই সময় আসরের নামাজ শেষ করে মুসল্লিরা বের হচ্ছিলেন। তাঁরা শফিউদ্দিনকে তাঁর গাড়ির কাছে পৌঁছে দেন। তখনো শফিউদ্দিনের ওপর বারবার হামলার চেষ্টা চলছিল। একপর্যায়ে হামলাকারীরা তাঁর গাড়ির পেছনের কাচ ভেঙে ফেলে। শফিউদ্দিন গাড়িতে করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এ ব্যাপারে শফিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে তিনি কুঞ্জনগর বাজারে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে সাত-আটজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় কিছু লোক হট্টগোল সৃষ্টি করলে তিনি সেখান থেকে চলে আসেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এপিএস স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। রামনগর আওয়ামী লীগের ভোটার-অধ্যুষিত এলাকা। ওই জায়গায় তাঁর (এপিএস) ওইভাবে যাওয়া সমীচীন হয়নি। ওসি বলেন, মারপিট ও গাড়ির কাচ ভেঙে ফেলার এ ঘটনায় এপিএসের পক্ষে মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে গতকাল বুধবার বিকেল চারটা পর্যন্ত এ ব্যাপারে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি।

দ্বিতীয় পর্বে ১৮ মার্চ নগরকান্দাসহ ফরিদপুরের আটটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এখানে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মনিরুজ্জামান সরদার (নৌকা)। তবে স্থানীয় সাংসদ সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক কাজী শাহ জামানকে সমর্থন দিয়েছেন।