যুবকদের জন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।  পাশে সাংসদ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। গতকাল কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে।  ছবি: প্রথম আলো
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। পাশে সাংসদ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। গতকাল কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে। ছবি: প্রথম আলো

যুবকদের দক্ষতা বাড়ানো ও তাঁদের উন্নয়নে কাজ করে সরকারের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক মন্ত্রণালয়। অথচ জাতীয় বাজেটের ১ শতাংশ বরাদ্দও পায় না এই মন্ত্রণালয়। যুবকদের দক্ষতা বাড়াতে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করা হলেও তা বাস্তবায়নে যথেষ্ট বরাদ্দ থাকছে না। যুব সম্প্রদায়কে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে বাজেটে তাঁদের জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর বিকল্প নেই। 

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘যুব বাজেট: যুবদের উন্নয়ন, প্রত্যাশা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বিশিষ্টজনেরা। প্রথম আলোর আয়োজনে গোলটেবিল বৈঠকে সহযোগিতা দেয় আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফাম ইন বাংলাদেশ। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম।
বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আগামী বাজেটে যুবকদের জন্য সম্মানজনক বরাদ্দ থাকবে। উন্নত রাষ্ট্র গড়তে হলে যুবকদের সব কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসতে হবে। যুবকদের দক্ষতা ও কর্মসংস্থানবিষয়ক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
যুব সম্প্রদায়ের জন্য বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা বৈঠকে তুলে ধরেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে ২৪ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে যুবকদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার সচেষ্ট।
বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পাবলিক ফাইন্যান্স বিশেষজ্ঞ আবু সুমন। তাতে বলা হয়, ২০১১ সালে গৃহীত জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নের সঙ্গে ২৩টি মন্ত্রণালয়ের নানা ধরনের ভূমিকা রয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে দেখা যায়, ২৩টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ১২টি মন্ত্রণালয়েরই দক্ষতা উন্নয়নবিষয়ক কোনো বরাদ্দ ছিল না। দক্ষতা উন্নয়ন নীতি কার্যকর হচ্ছে কি না, সেটি দেখভালেরও কোনো ব্যবস্থা নেই।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা তৈরি ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান—এই তিন খাতে যুবকদের কর্মসংস্থান হচ্ছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থান বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভাষাগত, প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিবন্ধকতার সামনে পড়তে হয়। বাংলাদেশি শ্রমিকদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ শেষে আন্তর্জাতিক সনদের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
অক্সফামের ইকোনমিক জাস্টিস অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপক মো. খালিদ হোসেন বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে বাজেট প্রণয়নপ্রক্রিয়ায় যুবকদের অংশগ্রহণ নেই। কেন্দ্রীয় বাজেট প্রণয়নেও যুবকদের অংশগ্রহণ একেবারেই নগণ্য। বাজেটে যুবকদের সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন, যাতে তারা তাদের চাওয়া-পাওয়া তুলে ধরতে পারে।