জরাজীর্ণ স্কুল ঘরে বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে

কাউনিয়ার তিস্তার চরাঞ্চলের ধুমগাড়া প্রামাণিকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।  প্রথম আলো
কাউনিয়ার তিস্তার চরাঞ্চলের ধুমগাড়া প্রামাণিকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রথম আলো

রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তার চরাঞ্চলে অবস্থিত ধুমগাড়া প্রামাণিকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টিনের দোচালা ঘর জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। জং ধরে চালের টিনের অনেক স্থানে ছিদ্র হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলেই শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে। মেঝে কাঁচা হওয়ায় শ্রেণিকক্ষ বৃষ্টি হলে কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। এতে এখানে দুর্ভোগ পোহায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষকেরা জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই টিনের ফুটো দিয়ে পানি কক্ষের ভেতরে পড়ে। এতে বই–খাতাসহ তাঁরা ভিজে যান। বিদ্যালয়ে নেই প্রাক্‌–প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের খেলার উপকরণ।

গত বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে বিদ্যালয়ের আসবাবসহ শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চ ভিজে গেছে। মেঝে কাদায় একাকার।

অভিভাবক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘বাচ্চারা স্কুলটাত যাবারে চায় না। পানি হইলে ঘরের ভেতরোত কাদো হয়। আকাশে কালো মেঘ দেখলে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাই না।’

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তিস্তার চরের শিশুদের জন্য ২০০৯ সালে হারাগাছ ইউনিয়নের ধুমগাড়া ইউনিয়নের লোকজন চাঁদা তুলে বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। বিদ্যালয়ের টিনের ঘরে চারটি কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি শ্রেণিকক্ষ ও একটি কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ২০১৮ সালে বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষক ও ১৪০ জন শিক্ষার্থী আছে।

সহকারী শিক্ষক শাহানা আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ে বেঞ্চ ও চেয়ারের সংকট রয়েছে। শিক্ষকদের বসার জন্য চারটি ভাঙাচোরা চেয়ার এবং শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ২২ জোড়া বেঞ্চ। এর মধ্যে ৫ জোড়া বেঞ্চ ব্যবহারের অনুপযোগী। একেকটি বেঞ্চে তিনজন করে শিক্ষার্থী বসার ব্যবস্থা থাকলেও সংকটের কারণে পাঁচজন করে বসে। এতে শিক্ষার্থীদের বসতে খুব সমস্যা হয়।

প্রধান শিক্ষক আম্বিয়া সিদ্দিকা বলেন, ‘হাজারো অসুবিধার মধ্যে আমাদের পাঠদান করাতে হচ্ছে। কক্ষের ওপরের টিনের চাল ও বেড়া ভাঙাচোরা। বৃষ্টি হলেই সব শেষ। বিদ্যালয়ের সব কাগজপত্র ও একমাত্র আলমারি বাসায় নিয়ে রেখেছি।’