সড়কের ওপর বসছে বাজার

‘লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তা’ ঢাকা-যশোর মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ত এলাকা। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা সদরে এর অবস্থান। মহাসড়কের ওপর এই চৌরাস্তায় বসে বাজার। সেখানে আছে দোকানপাট ও সব ধরনের যানবাহনের স্ট্যান্ড। ফলে লেগেই থাকে যানজট, ঘটে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের ওপর প্রতিদিন সকাল-বিকেল বাজার বসে। বিক্রি হয় তরকারি ও মাছ। সড়কের ওপর ঢাকা ও স্থানীয় রুটের বাসস্ট্যান্ড এবং মাইক্রোবাস, টেম্পো, মোটরসাইকেল ও নছিমনের স্ট্যান্ড। সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যানবাহনে যাত্রী ওঠা–নামা করানো হয়। তা ছাড়া মহাসড়কের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে দোকানপাট।

চৌরাস্তা লাগোয়া দক্ষিণে লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও উপজেলা পরিষদ। উত্তর পাশে লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়, লক্ষ্মীপাশা বালিকা বিদ্যালয়, আরএলপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, থানা ও হাসপাতাল। এ অবস্থায় সর্বক্ষণ লেগে থাকে যানজট।

লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মিতা খানম বলেন, বাজার, দোকানপাট ও যানবাহনের স্ট্যান্ডের কারণে মহাসড়ক সরু হয়ে গেছে। তাই জনবহুল এই স্থানে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়ক পার হতে আতঙ্কে থাকতে হয়।

আরএলপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শরিফুল ইসলাম বলেন, চৌরাস্তার পরিস্থিতির কারণে ছেলেমেয়ে স্কুলে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তা কাটে না। সেখানে যানজট হয় ঢাকা শহরের মতো।

মহাসড়কের ওপর কাঁচা তরকারি বিক্রেতা নূর ইসলাম শেখ বলেন, সবাই রাস্তার ওপর বসে বলে তিনিও বসেন।

ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের লক্ষ্মীপাশা কাউন্টারের ব্যবস্থাপক এনামুল হোসেন বলেন, সড়কের বাইরে ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে সড়কের ওপর গাড়ি পার্কিং করতে হয়। এতে মারাত্মক ঝুঁকি আছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

লোহাগড়া পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, সমস্যাটি দীর্ঘদিনের, তাই রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে এর স্থায়ী সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, বাজার, দোকানপাট ও যানবাহনের স্ট্যান্ডের কারণে ওই স্থানটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে নড়াইল শহরের একটি অংশে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি। লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তায়ও অল্প সময়ের মধ্যেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। এসব অভিযান পরিচালনা করেন স্টেট ও আইন কর্মকর্তা। তিনি ১০ জেলার দায়িত্বে। তাই শিডিউল পেতে একটু সময় লাগছে।’