এপ্রিলের মধ্যে ঢাকার ৩ এলাকায় চক্রাকার বাস

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল ক্রসিংয়ে ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ উদ্বোধন করেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। ছবি: ডিএমপি
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল ক্রসিংয়ে ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ উদ্বোধন করেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। ছবি: ডিএমপি

ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘আইন না মানার সংস্কৃতি আমাদের বড় সমস্যা। সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গকে অনুরোধ করব, আপনারা আইন মানুন, অন্যকে আইন মানতে উৎসাহিত করুন। সবাইকে ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে, ট্রাফিক আইন মানতে হবে। সবার আইন মানার মানসিকতা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থাকলে সুশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব না।’

তিনি বলেন, এপ্রিলের মধ্যে রাজধানীতে আরও তিনটি এলাকায় সার্কুলার (চক্রাকার) বাস লাইন চালু করা হবে। এগুলো হবে ধানমন্ডি, মতিঝিল ও উত্তরায়। এটি বাস্তবায়নের ফলে সড়কে প্রতিযোগিতামূলক গাড়ি চালানোর প্রবণতা কমবে এবং দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে। এই কার্যক্রমের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল ক্রসিংয়ে ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন ডিএমপির কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। এটি চলবে ২৩ মার্চ পর্যন্ত।

সুশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়তে সবার সহযোগিতা চেয়ে কমিশনার বলেন, ‘সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। তার পরও আইন না মানার প্রবণতার ফলে সব চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে। এ জন্য সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আইন মানতে হবে। ট্রাফিক আইন না মানলে আমরা মামলা ও জরিমানা করছি। তবে মামলা বা জরিমানাই শেষ কথা নয়। সবাইকে সচেতন হতে হবে। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা ট্রাফিক আইন মানার জন্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।’

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসগুলো ৬টি কোম্পানির মাধ্যমে চলবে। এর পদ্ধতি ও কৌশল কী হবে, তা নিয়ে যাচাইবাছাই চলছে। আগামী এপ্রিলের মধ্যে রাজধানীতে আরও তিনটি এলাকায় সার্কুলার (চক্রাকার) বাস লাইন চালু করা হবে। একটি ধানমন্ডিতে, মতিঝিলে ও আরেকটি উত্তরায়। এটি বাস্তবায়নের ফলে সড়কে প্রতিযোগিতামূলক গাড়ি চালানোর প্রবণতা কমবে এবং দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে। এই কার্যক্রমের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।

নগরবাসীকে আহ্বান জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই ট্রাফিক আইন মানি অপরকে আইন মানতে উদ্বুদ্ধ করি। ট্রাফিক আইন প্রয়োগে পুলিশকে সহযোগিতা করুন।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরপরই গণপরিবহনের যাত্রীদের মধ্যে ফুল ও ট্রাফিক সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।