দ্বিগুণ বেড়েছে পানের দাম

বরজ থেকে পান তুলে ঝুড়ি ভর্তি করে আনা হয়েছে বাজারে। গত বুধবার দুপুরে টেকনাফ সদরের বটতলীর পানবাজারে।  প্রথম আলো
বরজ থেকে পান তুলে ঝুড়ি ভর্তি করে আনা হয়েছে বাজারে। গত বুধবার দুপুরে টেকনাফ সদরের বটতলীর পানবাজারে। প্রথম আলো

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বিভিন্ন হাটবাজারে এক বিরা (৮০টি) পান ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তিন সপ্তাহ আগেও বাজারে এই পান বিক্রি হয়েছিল ১৮০ থেকে ২২০টাকায়। পানের দাম বেড়ে যাওয়ায় খুশি স্থানীয় চাষিরা।
গত বুধবার দুপুরে সরেজমিনে টেকনাফ বাসস্টেশন ও বটতলীর পান বাজারে দেখা যায়, দুই শতাধিক চাষি বড় ঝুড়ি ভর্তি করে পান বিক্রি করতে বাজারে এসেছেন। এসব পান কিনতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা ভিড় করছেন বাজারে। কেনাবেচার পর পান ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হয় বিভিন্ন এলাকায়। এ সময় বাজারের পান নিয়ে অনেক চাষির সঙ্গে কথা হয়েছে। এর মধ্যে দুজন উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের পানচাষি হামিদুর রহমান ও টেকনাফ পল্লানপাড়ার মো. ওসমান।
তাঁরা জানান, এক মাসে আগেও চাষিরা পানের দাম পাননি। তবে তিন সপ্তাহ ধরে বাজারে পানের দাম বাড়ছে। এখন পানের উৎপাদন বেশি হওয়ায় দাম বাড়ছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
সদর ইউনিয়নের লম্বরী গ্রামের চাষি সাব্বির আহমদ জানান, ৬০ শতক জমিতে পান চাষ করেছেন। সব মিলিয়ে তাঁর প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বরজে পানের ভালো ফলনও হয়েছে। এভাবে চড়া দাম থাকলে ভালো মুনাফার আশা করছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, উপজেলায় ১ হাজার ৩৫৮ একর জমিতে পান চাষ হচ্ছে। গত বছরে উপজেলায় পানের চাষ হয়েছিল ১ হাজার ১৮৫ একর জমিতে। আর চলতি মৌসুমে পান চাষ বেড়েছে ১৭৩ একর জমিতে। প্রতি একর জমিতে পাঁচ-ছয়টি পানের বরজ করা যায়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এক একর জমিতে পান চাষ করতে খরচ লাগে আড়াই থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। বছরে প্রতি একর জমিতে ৪৩ মেট্রিকটন পান উৎপাদিত হয়। প্রতি একর জমিতে উৎপাদিত পান বিক্রি হয় গড়ে ২০ লাখ টাকার মতো। এতে খরচ বাদ দিয়ে চাষিদের ১২ থেকে ১৬ লাখ টাকার মতো মুনাফা থাকে।
তিনি আরও বলেন, তিন সপ্তাহ ধরে পানের ন্যায্য দাম পাওয়ায় চাষিরা প্রচুর লাভ করতে পারবেন।