কসবা-সৈয়দাবাদ সড়কে বড় বড় গর্ত, চরম দুর্ভোগ

পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবা-সৈয়দাবাদ সড়কটি সংস্কারের দুই বছরের মধ্যে বেহাল হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্তের। গতকাল দুপুরে হাজীপুর এলাকায়।  ছবি: প্রথম আলো
পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবা-সৈয়দাবাদ সড়কটি সংস্কারের দুই বছরের মধ্যে বেহাল হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্তের। গতকাল দুপুরে হাজীপুর এলাকায়।  ছবি: প্রথম আলো

সংস্কারের দুই বছরের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা-সৈয়দাবাদ সড়কটিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে প্রায়ই আটকা পড়ছে যানবাহন। এ ছাড়া সড়কে গর্ত থাকায় যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রী, চালক ও এলাকাবাসী। তাঁরা সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কর্মকর্তারা বলছেন, কসবা থেকে সৈয়দাবাদ পর্যন্ত এ সড়কের দৈর্ঘ্য পাঁচ কিলোমিটার। কসবা উপজেলাবাসীর জেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিনই কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করছেন। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে যেকোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে রাস্তাটি বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মাত্র দুই বছর আগে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছিল। সর্বোচ্চ ১০ টন ওজনের গাড়ি চলাচলের ধারণক্ষমতা রয়েছে এ সড়কের। কিন্তু আখাউড়া-লাকসাম রেললাইনের কাজে তমা গ্রুপের গাড়ি ৪৭ টন মালামাল নিয়ে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে। অধিক ওজনের গাড়ি নিয়মিত যাতায়াত করায় সড়ক ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এলজিইডি তমা গ্রুপের গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে আবার ওই গাড়ি চলাচল শুরু হয়।
গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, কসবা উপজেলার কদমতলী মোড়, আড়াইবাড়ি, তালতলা, অনন্তপুর, হাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় গর্ত। গর্তের কাছে পৌঁছার পর কিছু গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিতে দেখা গেল।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক কসবা পৌর এলাকার কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের দুলাল মিয়া বলেন, রাস্তাটি এতটাই খারাপ যে গাড়ি চালাতে খুবই কষ্ট হয়। যাত্রীরা গাড়িতে উঠে গালিগালাজ করতে থাকেন। রাস্তাটি মেরামত করা জরুরি। মাইক্রোবাসের চালক মামুন মিয়া বলেন, পাঁচ কিলোমিটার রাস্তাটি অতিক্রম করতে দ্বিগুণের বেশি সময় লাগে। গাড়ির খুব ক্ষতি হয়। যাত্রীদেরও মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
উপজেলার আড়াইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক মো. সফিকুর রহমান বলেন, কসবা-সৈয়দাবাদ সড়কটি ভেঙে অনেক গর্ত রয়েছে। এতে স্থানীয় লোকজন চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। রাস্তাটি মেরামত করা খুবই জরুরি।
কসবা উপজেলা প্রকৌশলী এ টি এম রবিউল ইসলাম বলেন, তিন বছর আগে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছিল। তমা গ্রুপের ৪৭ টন ওজনের মালবাহী গাড়ি যাতায়াত করায় এবং গত বছর বৃষ্টির কারণে রাস্তাটি ভেঙে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। কসবা-সৈয়দাবাদ এবং কসবা-নয়নপুর পর্যন্ত রাস্তাটি প্রশস্ত করে নতুন করে করা হবে। ইতিমধ্যে প্রাক্কলন তৈরি করা হয়েছে। দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিযুক্ত করে শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে।