নিজ গ্রামে দাফন সাংবাদিক সফিউলকে

সফিউল আলম রাজা
সফিউল আলম রাজা

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার নিজ গ্রামে আজ সোমবার চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ভাওয়াইয়াশিল্পী ও সাংবাদিক সফিউল আলম রাজা (৪৮)। রাজধানীর পল্লবীতে সফিউলের প্রতিষ্ঠিত ‘কলতান সাংস্কৃতিক একাডেমির’ একটি কক্ষ থেকে গতকাল রোববার বিকেলে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পরিবারের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের সিদ্ধান্ত হয়।

সাংবাদিক সফিউলের মরদেহ ঢাকা থেকে সোমবার সকালে প্রথমে কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে নেওয়া হয়। সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মণ্ডল, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খ ম আতাউর রহমান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সফি খান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক শ্যামল ভৌমিকসহ শত শত ব্যক্তি সফিউলের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে দুপুর ১২টার দিকে চিলমারী থানাহাট এইউ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাজা হয়। বেলা আড়াইটার দিকে চিলমারীর জোরগাছ গ্রামের খরখরিয়া ভট্টপাড়ায় জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ মণ্ডলপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সাংবাদিক সফিউল যুগান্তর-এ ১৪ বছরের বেশি সময় কাজ করেছেন। সর্বশেষ তিনি প্রিয়ডটকম-এর প্রধান প্রতিবেদক ছিলেন।

১৯৯৪ সালে ঢাকায় পাড়ি জমান রাজা। দীর্ঘ ২৪ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে দৈনিক যুগান্তরে সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে ১৪ বছরের বেশি সময় কাজ করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি প্রিয় ডটকমের প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত জীবনেও তিনি সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি সাংবাদিকতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুরস্কার, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার, ডেমোক্রেসি ওয়াচ হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড, ইউনেসকো ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ডসহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা সিনেমা ‘উত্তরের সুর’ ও ‘আদম হাওয়ায়’ প্লে-ব্যাক করা এ শিল্পী ভাওয়াইয়াকে সফলভাবে উপস্থাপন করেছেন দেশে-বিদেশে।