বঙ্গবন্ধুর কথা অমান্যকারীদের একঘরে করা দরকার

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। ছবি: প্রথম আলো
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। ছবি: প্রথম আলো

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন প্রশ্ন রেখেছেন, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন যারা হতে দিচ্ছে না, বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাদের আনুগত্য আছে কি না? বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ায় বাধা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বলেছেন তিনি।

আজ সোমবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় ড. কামাল এসব কথা বলেন।

কামাল হোসেন বলেন, ‘অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হচ্ছে কি হচ্ছে না, তা চিহ্নিত করেন। দেখেন কারা এটা হতে দিচ্ছে না। যারা হতে দিচ্ছে না, আমরা ধরে নেব বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাদের আনুগত্য আছে? না উল্টোটা? যারা ওনার কথাকে অমান্য করাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে সবাই মিলে একঘরে করা দরকার। এরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ায় বাধা সৃষ্টি করছে। রুখে দাঁড়াও।’

বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণার উৎস উল্লেখ করে গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করার জন্য প্রত্যেককে শপথ নিতে হবে। শুধু কথার মাধ্যমে নয়, বঙ্গবন্ধু যে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন, সে দায়িত্ব পালন করার জন্য নিজেদের উৎসর্গ করার মাধ্যমে।’

কামাল হোসেন প্রশ্ন রাখেন, ষোলো আনা গণতন্ত্র দেশে চলছে কি না এবং অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হচ্ছে কি না? অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনকে বঙ্গবন্ধু সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন বলে জানিয়ে কামাল হোসেন বলেন, ভোটের অধিকার ও আইনের শাসনের ব্যাপারে ৪৮ বছর পরও না শুনতে হয়। গণতন্ত্রের জন্য মানুষকে মূল্য দিতে হয়েছে। কিন্তু এরপরও মানুষ গণতন্ত্র ভোগ করতে পারছেন না বলে জানান।

ঐক্যফ্রন্টের এই আহ্বায়ক বলেন, ঐক্যবদ্ধ জনগণের শক্তির ওপর ভর করে বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নাম নিয়ে মানুষের ওপর আক্রমণ করা হয়। মুখে বঙ্গবন্ধু কিন্তু কাজে বিপরীত।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, বঙ্গবন্ধু গণতন্ত্রের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র এখন আদায় করে নিতে হবে।
ক্ষমতাসীনরা বঙ্গবন্ধুর নীতির উল্টো কাজ করছেন বলে উল্লেখ করেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে বলেন, শিক্ষকেরা আগের রাতে ভোট বাক্স ভরে রেখেছে।

গণফোরাম থেকে সিলেট-২ আসনে নির্বাচিত প্রার্থী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকব্বির খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর নাম শুনলে নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধ ভেসে ওঠে।
আইনজীবী মহসিন রশিদ এই আলোচনা সভাতেই গণফোরামে যোগ দেন। এ ছাড়া সভায় আরও বক্তব্য দেন গণফোরামের নেতা রেজা কিবরিয়া, আবু সাইদ, মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন প্রমুখ।