নরসিংদীতে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ২

নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন। নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিহত ইকবালের মায়ের আহাজারি। ছবি: প্রথম আলো
নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন। নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিহত ইকবালের মায়ের আহাজারি। ছবি: প্রথম আলো

নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে রায়পুরার চরাঞ্চল মির্জারচরে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও পাঁচজন।

নিহত দুজন হলেন মির্জারচরের বালুচর গ্রামের ইকবাল মিয়া (৩২) ও মির্জারচর মধ্যপাড়া এলাকার আমান উল্লাহ (৩১)। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুজন নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মির্জারচর ইউনিয়ন (ইউপি) পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিজয়ী চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিক ও পরাজিত প্রার্থী ফারুকুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। তাঁরা দুজনই আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা। এসব নিয়ে আগেও দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ ঘটনার পর ইউপি চেয়ারম্যান মানিকের সমর্থকেরা এলাকাছাড়া ছিলেন। তিন দিন আগে তাঁরা এলাকায় ফিরে আসেন। এর জের ধরে আজ সকালে ফারুকুল ইসলামের সমর্থকেরা মানিকের সমর্থকদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে সাতজন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

রায়পুরা থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ইকবাল মিয়া ও আমান উল্লাহ নামের দুজন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও পাঁচজন। তাঁরা সবাই চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিকের সমর্থক। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েত করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।