প্রথম 'পাখি', দ্বিতীয় 'কালাই', তৃতীয় 'ফাটাকেষ্ট'

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নকড়িরচর গ্রামে ৪২ বছরের ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ঘোড়ার মালিকেরা অংশ নেন। ছবি: নুতন শেখ
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নকড়িরচর গ্রামে ৪২ বছরের ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ঘোড়ার মালিকেরা অংশ নেন। ছবি: নুতন শেখ

গোপালগঞ্জের নকড়িরচরে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও গতকাল সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের নকড়িরচর গ্রামের মাঠে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বিভিন্ন জেলা থেকে ১৮টি ঘোড়া নিয়ে মালিকেরা আসেন। এর আয়োজন করে নকড়িরচর গ্রামবাসী। পয়েন্টভিত্তিক এই প্রতিযোগিতায় নকড়িরচর ইটের ভাটার পূর্ব পাশ থেকে ছেড়ে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ১২ পয়েন্ট পেয়ে দৌড়ে প্রথম হয়েছে যশোরের অভয়নগরের ওসমান চৌধুরীর ঘোড়া পাখি। ১১ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে লোহাগড়ার আলমডাঙ্গার মো. শিমুলের ঘোড়া কালাই। ৬ পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয় হয়েছে যশোরের বাঘাপাড়ার মো. সলেমানের ঘোড়া ফাটাকেষ্ট। বিজয়ী তিনজনকে যথাক্রমে নগদ ১০ হাজার, ৮ হাজার ও সাত হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়।

বিজয়ী ওসমান চৌধুরী বলেন, ‘এখানে আসতে পেরে আমি অনেক খুশি। এখানে এসেছি মানুষকে আনন্দ দিতে। এখানে এসে আমার পাখি (তাঁর ঘোড়ার নাম) প্রথম হয়েছে, এটাই আমাদের সার্থকতা।’

ঘোড়দৌড় দেখতে আসা খুদে দর্শনার্থী আফসানা মিমি বলে, ‘আমি টুঙ্গিপাড়া থেকে এসেছি ঘোড়দৌড় দেখতে। আগে শুধু টিভিতে ঘোড়দৌড় দেখেছি। আজ সত্যি দেখে অনেক মজা পেয়েছি। ভবিষ্যতে আবার আসব।’

ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজক কমিটির সভাপতি শেখ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের গ্রামে গত ৪২ বছর ধরে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা হয়ে আসছে। এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে এলাকার মানুষের আন্তরিকতা ও দর্শনার্থীদের ভালো ব্যবহারের কারণে।’ আগামী বছর ১৭ মার্চ এই ঘোড়দৌড় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।