সাবেক সাংসদ শওকতসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

দুদক
দুদক

নীলফামারী-৪ আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ শওকত চৌধুরী, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (ভারপ্রাপ্ত) নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাংকের ১২০ কোটি ৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাংসদ শওকতের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় মামলা হয় ২০১৬ সালের মে মাসে। তিনি বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার কমিশনের সভায় অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়।’

শওকত চৌধুরী ছাড়াও যাঁদের আসামি করা হয়েছে তাঁরা হলেন বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চলতি দায়িত্বে ছিলেন) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিকুল ইসলাম, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পানু রঞ্জন দাস, সাবেক ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ইফতেখার হোসেন, বংশাল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুল গনি, বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার কর্মকর্তা শিরিন নিজামী, সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার দেবাশীষ কুমার ও এক্সিকিউটিভ অফিসার আসজাদুর রহমান।

দুদক জানায়, যমুনা অ্যাগ্রো কেমিক্যাল কোম্পানি ও যমুনা অ্যাগ্রো কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ব্যাংকটির বংশাল শাখা থেকে ৯৩ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ২৩১ টাকা আত্মসাৎ করে। পরে সুদ-আসলে সেটা দাঁড়ায় ১২০ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার ৯৯০ টাকা। প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক শওকত চৌধুরী।

দুদক জানায়, ব্যাংক থেকে জালিয়াতির জন্য নানা কৌশল নেয় প্রতিষ্ঠান দুটি। ভুয়া মেয়াদি আমানত (এফডিআর) দেখিয়ে তার বিপরীতে ঋণ নেওয়া, বিটিআরসির একটি হিসাবকে জাল কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে নিজেদের দেখিয়ে ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনসহ নানা প্রক্রিয়ায় ওই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়।