তিন ইয়াবা ব্যবসায়ীর বাড়ি-জমি জব্দ

কক্সবাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল হক ওরফে ভুট্টো, তাঁর ভাই নূর মোহাম্মদ ওরফে মংগ্রী এবং তাঁদের বাবা এজাহার মিয়ার সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলায় কক্সবাজারের বিশেষ জজ খোন্দকার হাসান মো. ফিরোজ গত রোববার এ আদেশ দেন। জব্দ করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে দুটি বাড়ি ও আড়াই কোটি টাকা মূল্যের জমি। তাঁরা তিনজনই পলাতক।

ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। জানতে চাইলে সিআইডির বিশেষ সুপার মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দেশে এই প্রথম মানি লন্ডারিং আইনে কোনো মাদক ব্যবসায়ীর সম্পদ জব্দ হলো। এভাবে মাদক ব্যবসায়ীদের সম্পদ জব্দ করা হলে তাঁরা এই ব্যবসা থেকে সরে আসতে পারেন।

জব্দ করা সম্পদগুলো এখন কী হবে, জানতে চাইলে সিআইডির কর্মকর্তা বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা এখন আর এসব সম্পদ ভোগ করতে পারবেন না। সম্পদগুলো আদালত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জিম্মায় দেবেন।

ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল হক ২০১০ সালেও রিকশাচালক ছিলেন। তাঁর নিজের কোনো রিকশা কেনার সামর্থ্য ছিল না। তিনি চালাতেন ভাড়ায় চালিত রিকশা। তিনি ইয়াবা কেনাবেচার জন্য গড়ে তোলেন ছয়টি চক্র। এই চক্রের ৪২ সদস্যকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের ১৪ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

সিআইডির এএসপি নাজিম উদ্দিন আল আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, এ চক্রটি টেকনাফ থেকে সারা দেশে ইয়াবা সরবরাহ করত।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, নুরুল হকের পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে হোছেন ওরফে কামাল উদ্দিন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। অন্য ভাই নূর মোহাম্মদ নামে–বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তোলেন। এসব সম্পদের মধ্যে আটটি ব্যাংক হিসাব, দুটি বাড়ি ও কক্সবাজার শহরসহ নয়টি জায়গায় কেনা জমি। পুলিশের পক্ষ থেকে এসব সম্পদের বিবরণ দিয়ে তা জব্দ করার আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, ওই তিনজনই পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।