পটিয়ায় সড়কের পাশে বিদ্যুতের খুঁটি

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ফুটপাতে পটিয়ার বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে রাখা হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। গতকাল সকালে পটিয়া বিসিক শিল্পনগরীর পূর্ব পাশে।  প্রথম আলো
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ফুটপাতে পটিয়ার বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে রাখা হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। গতকাল সকালে পটিয়া বিসিক শিল্পনগরীর পূর্ব পাশে। প্রথম আলো

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার অংশটি দুর্ঘটনাপ্রবণ। অথচ এই অংশের বিভিন্ন স্থানে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘদিন ধরে হাজারো পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি ঝুঁকিপূর্ণভাবে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। ফলে ব্যস্ত এই মহাসড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বেড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পটিয়ার ইন্দ্রোপুল এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পটিয়া ফায়ার সার্ভিস, গিরিশ চৌধুরী বাজার, নতুন বাসস্টেশন এলাকা, চক্রশালা সরকার বাড়ি ঘাটা ও খরনা চেয়ারম্যান ঘাটায় সড়কের পাশে বিদ্যুতের খুঁটি স্তূপ করে রাখা হয়েছে। দূরপাল্লার যানবাহনসহ বিভিন্ন যানবাহন ওই সব এলাকা পার হতে গিয়ে গাড়ির গতি কমিয়ে দেয়। এতে সড়কে যানজটও তৈরি হয়।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম-বান্দরবান রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসের একাধিক চালক জানিয়েছেন, সড়কের পাশে এভাবে বিদ্যুতের খুঁটি রাখায় তাঁরা অনেক সময় দেখতে পান না। ঝুঁকি এড়াতে ওই অংশে গাড়ির গতি কমিয়ে দিতে হয়। বৈদ্যুতিক খুঁটির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম জেলা আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ মিয়া বলেন, সড়কের পাশে বিদ্যুতের খুঁটি ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে করাতকলের গাছের স্তূপও রয়েছে। এ কারণে ওই এলাকায় দুর্ঘটনা লেগেই আছে।
সওজের দোহাজারী বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ হাসান বলেন, মহাসড়কের পাশ থেকে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো সরানোর জন্য চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১–এর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয় পরিষদেও বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আগামী সমন্বয় সভাতেও তোলা হবে।

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১–এর মহাব্যবস্থাপক আবু বক্কর ছিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে শতভাগ বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আট উপজেলার মধ্যে সাত উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের কাজ চালু থাকায় মহাসড়কের পাশে খুঁটিগুলো রাখতে হয়েছে। সওজের চিঠি পাওয়ার পর এলাকাভিত্তিক ঠিকাদারদের খুঁটিগুলো দ্রুত সরানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।