বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৯০০ কোটি টাকার প্রকল্প

নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন একটি প্রকল্প নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। দীর্ঘমেয়াদি এ প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর কাজ শুরু হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শৃঙ্খলার মধ্যে রাখতে ইতিমধ্যে রাজধানীর ওয়ার্ডগুলোর বিভিন্ন স্থানে ২১টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণ করেছে ডিএসসিসি। তবে প্রস্তাবিত এ প্রকল্পে এসটিএস নির্মাণসহ আরও নতুন কয়েকটি বিষয় যুক্ত করা হয়েছে।

ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এইচ এম আবদুল্লাহ হারুন জানান, নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানোর উদ্দেশ্যে এ প্রকল্পের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৮৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের অনুমোদন নিয়ে গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে আগামী জুলাই থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হতে পারে।

প্রস্তাবিত এ প্রকল্পে বলা হয়েছে, প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে এক একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। এসটিএস ও অফিস কক্ষ নির্মাণ, বর্জ্য রিসাইকিলিং (পুনচক্রায়ন) করা, গভীর নলকূপ স্থাপনসহ অবকাঠামো উন্নয়নকাজের জন্য এই জমি ব্যবহার করা হবে। সার্বিক তদারকির জন্য ৫টি গাড়ি ও ২৩টি মোটরসাইকেল কিনতে হবে।

এ ছাড়া বর্জ্য পরিবহনের জন্য বিভিন্ন ধরনের উন্নত মানের যন্ত্রপাতি ও যানবাহন কেনা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলোতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে বেসরকারি ঠিকাদারের মাধ্যমে ন্যূনতম বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া হবে।

এর আগে নতুন যুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডে সড়ক, নর্দমা, ফুটপাত ও বৈদ্যুতিক বাতি সংযোজনে ১ হাজার ২৮৮ কোটি টাকার পৃথক দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ডিএসসিসি। ওই কাজের ৭৫ ভাগ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। চলতি বছর এ দুটি প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হবে বলে জানা গেছে।