বাঘাইছড়ির ঘটনা আঞ্চলিক সমস্যার বহিঃপ্রকাশ, মনে করেন সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। ফাইল ছবি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। ফাইল ছবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, বাঘাইছড়ির ঘটনায় কাউকে এখনো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁরা মনে করছেন, আঞ্চলিক সমস্যার বহিঃপ্রকাশ এই ঘটনা। আঞ্চলিক অনেক দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। তারা ভোট বর্জনও করেছে। সেই প্রতিদ্বন্দ্বীদের কেউ এটা ঘটাতে পারে বলে তাঁরা ধারণা করছেন। বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন।

১৮ মার্চ রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ভোট গ্রহণ শেষে উপজেলা সদরে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৭ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হন। ওই ঘটনার সার্বিক বিষয় অবহিত করতে বৃহস্পতিবার ওই সংবাদ সম্মেলন করেন সিইসি।

হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, আর্থিক ক্ষতিপূরণে প্রাণহানির ক্ষতিপূরণ হয় না। তবু হামলায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হবে। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার সব দায়দায়িত্ব ইসি নেবে। এ ছাড়া পরিবারের সদস্যদের নির্বাচন কমিশনে সম্ভব হলে চাকরি দেওয়া হবে।

বাঘাইছড়িতে নিরাপত্তাব্যবস্থা যথেষ্ট ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, ‘সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল। তবে যে চোরাগোপ্তা হামলা ঘটেছে, এত বড় দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের কোথায়, কখন এ–জাতীয় চোরাগোপ্তা হামলা ঘটে, সে বিষয়টি হিসাবের মধ্যে থাকে না। বিষয়টি আন্দাজ করাও একেবারে সম্ভব নয়।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘একেবারেই পরিকল্পিতভাবে এক থেকে দেড় মিনিটের মধ্যে এই হামলাটি হয়েছে। ওই বহরে বিজিবির যে নিরাপত্তা বহর ছিল, তাদের পক্ষে ওই সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করা সম্ভব নয়। তবে তাদের দায়িত্ব পালনে কোনো গাফিলতি ছিল বলে মনে করি না। তারা ঘটনার পরপরই তড়িৎ গতিতে ওই এলাকা তল্লাশি করেছে।’ তিনি বলেন, ভোট বর্জনের পর কমিশনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থার কারণে তারা নির্বাচন বানচাল করতে পারেনি। আগেও অনেকে ভোট বর্জন করেছেন। তবে বর্জনের পর এ ধরনের ঘটনা ঘটবে তা বলা যায় না।

কে এম হুদা বলেন, হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। ঘটনার তদন্তে বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সব বিষয়ে ইসি সার্বিকভাবে যোগাযোগ রাখছে।

অন্যদের মধ্যে ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।