বাস কাউন্টারে ধর্ষণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরের একটি নৈশকোচের স্থানীয় কাউন্টারে এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকায় যশোদা পরিবহনের বাস কাউন্টারে বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করেছে। ওই নারীর বাড়ি শেরপুরের নকলা উপজেলায়। আর গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম রেজাউল ইসলাম (৩৫)। তিনি বুড়িমারী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, রেজাউল ইসলামসহ বুড়িমারী ইউনিয়নের তিন যুবক পাশের উপজেলার এক যুবকের যোগসাজশে ওই নারীকে ভারতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘটনাস্থলে আনেন। গত রোববার ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দরগামী একটি নৈশকোচে করে গত সোমবার সকালে তাঁকে পাশের উপজেলা হাতীবান্ধায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ওই দিন বিকেলে রেজাউল ইসলামসহ ওই চার যুবক ভারতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হাতীবান্ধা থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দরে নিয়ে আসেন ওই নারীকে। এরপর তাঁকে কাগজপত্র তৈরি করে দেওয়ার নাম করে যশোদা বাস কাউন্টারে নিয়ে গিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। সেখানেই তাঁকে তিন দিন ধরে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তালাবন্ধ একটি কক্ষ থেকে ধষর্ণের শিকার ওই নারীর চিৎকার শুনে আশপাশের নৈশকোচের যাত্রীরা জানতে চান বন্ধ কক্ষে নারী কেন। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি ধর্ষণের অভিযোগে রেজাউলকে থানায় নেয় পুলিশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনছুর আলী সরকার বলেন, আটক রেজাউলসহ চারজনের নামে ধষর্ণের অভিযোগে ওই নারী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পাশাপাশি ওই নারীকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।