শামীম ওসমানের দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অস্ত্র নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সাংসদ শামীম ওসমানের ছেলের সঙ্গে কক্সবাজারে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে।

মামুন ফকির নামের ওই কনস্টেবল শামীম ওসমানের দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত। তিনি অনুমতি ছাড়া ১৪ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত অস্ত্র নিয়ে শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানের সঙ্গে কক্সবাজারে অবস্থান করেন। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সুবাস চন্দ্র সাহাকে এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সাংসদদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের নিরাপত্তায় অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য দেওয়া যাবে। সাংসদেরা শুধু নিজেদের সংসদীয় এলাকায় দেহরক্ষীর নিরাপত্তা পাবেন। নির্বাচনী এলাকার বাইরে চলে গেলে নিরাপত্তায় নিয়োজিত দেহরক্ষী নিজ নিজ ইউনিটে রিপোর্ট করবেন। এই নিরাপত্তা শুধু সাংসদেরা পাবেন। তাঁদের স্ত্রী, সন্তান বা পরিবারের কেউ পাবেন না। কিন্তু অয়ন ওসমানের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটেছে।

নারায়ণগঞ্জের কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, কনস্টেবল মামুন সাংসদ শামীম ওসমানের দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োজিত হলেও তাঁকে প্রায়ই অয়ন ওসমানের দেহরক্ষী হিসেবে বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযোগের বিষয়ে কনস্টেবল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (সদর) তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে কনস্টেবল মামুনের বিরুদ্ধে পুলিশের ওয়্যারলেস সেট ব্যবহার করে পুলিশের গতিবিধি ও গোপন তথ্য ফাঁস করার অভিযোগ ওঠে। তখন বেতারযন্ত্রটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।