অনুভবে বসন্ত

উৎসবে বসন্তের সাজে এসেছে ফুটফুটে শিশুটি। ছবি: সাজিদ হোসেন
উৎসবে বসন্তের সাজে এসেছে ফুটফুটে শিশুটি। ছবি: সাজিদ হোসেন

বসন্ত এসে গেছে বেশ কয়েক দিন আগেই। বসন্ত জুড়েই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় চলে ছোটখাটো নানা উৎসব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, চারুকলা, কলা ভবন, কার্জন হল, দোয়েল চত্বর, পলাশী মোড়, শাহবাগ, বিভিন্ন এলাকায় স্কুল, কলেজে চলে বসন্তের উৎসব।

বসন্ত উৎসবের ইতিহাস পুরোনো। বাঙালিদের উৎসব এটি।

রাজধানীর যান্ত্রিক জীবনে বসন্তকে অনুভব করা কঠিন। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে বসন্তের কিছুটা আমেজ পাওয়া যায়। আমের মুকুলের গন্ধ এসে লাগে নাকে। শোনা যায় কোকিলের ডাক। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বসন্তের গান করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আহা আজি এ বসন্তে’ গানটি যেমন কানে আসে, তেমনি কানে আসে হালের ‘বসন্ত এসে গেছে’ গানটি।

পাতা ঝরে পড়ার শব্দটা এখন খুব বেশি কানে বাজে না। নতুন পাতার হালকা বাতাস দোলায় শরীর। নতুন ফুলের সৌরভ ঝাপটা দেয় নাকে। ভরে যায় মন।

বসন্তের রঙিন সাজে এক নারী। ছবি: আশরাফুল আলম
বসন্তের রঙিন সাজে এক নারী। ছবি: আশরাফুল আলম

বসন্ত বরণের উৎসব হয় পয়লা ফাল্গুনে। সেদিন বসন্তকে স্বাগত জানাতে মেতে ওঠে নগরবাসী। তবে বসন্তের বাকি সময়টা জুড়েও যেন উৎসবের ছোঁয়া পাওয়া যায়।

চারুকলা, বটতলা, বকুলতলা ঘুরেও বসন্তের আমেজ টের পাওয়া যায় শিক্ষার্থীদের কথায় ও গানে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত হাসনা বলেন, বর্ষবরণ, নবান্ন উৎসব, পৌষমেলা-এসবের মতো বসন্ত উৎসবও বাঙালি চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ সব উৎসবের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহনশীলতা। মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ়তর হয়।

জাতীয় বসন্ত উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানেজার চৌধুরী সুইট বলেন, বাঙালির হাজার বছরের যে সংস্কৃতি, সেই সংস্কৃতি যেন আমরা সবাই মিলে পালন করি।

নাজিয়া হোসেন: প্রথম আলোর দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সাংবাদিক