'চা-কফির বিল দেন না ওসি'

নরসিংদীর পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন মোল্লার কাছে সাক্ষাৎপ্রার্থী কেউ এলে তিনি ভদ্রতা করে চা-কফি খাওয়ান। থানা থেকে পুলিশ পাঠিয়ে চা-কফি অর্ডার করলে ওসির কক্ষে এসব সরবরাহ করেন থানার ফটকসংলগ্ন চা দোকানদার হুসেন আলী। ১ মাস ২০ দিন ধরে ওসি মকবুল হোসেন মোল্লার নামে আর চা-কফি দিচ্ছেন না হুসেন আলী।

হুসেন আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি অল্প পুঁজি নিয়ে ছোট্ট দোকানে চা-কফি, বেকারির বিস্কুট আর সকালের নাশতা বিক্রি করি। গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি—এই দুই মাসে ওসি মকবুল হোসেন মোল্লার নামে বিল আসে ২ হাজার ৩০৫ টাকা। পুলিশ সদস্যরা এসে ওসির নাম বলে অর্ডার করলে আমি নিজে গিয়েই এসব চা-কফি তাঁর কক্ষে গিয়ে দিয়ে আসতাম। অথচ ওসি সাহেব এখন বলছেন, তিনি নাকি এই চা-কফি খাননি, তাই এই টাকাও দেবেন না। এই টাকা আদায়ের জন্য তাঁর পিছু পিছু ঘুরছি ১ মাস ২০ দিন ধরে। পাওনা টাকা চাইতে গেলে বিল পরিশোধ না করে উল্টো হাজতের লকারে ভরে রাখার ভয় দেখান তিনি।’

জানা গেছে, হুসেন আলীর চায়ের দোকানটি থানা ফটকের সামনে হওয়ায় পুলিশ সদস্যরা এখানে চা-নাশতা করেন। চার বছর ধরে মাহাবুব নামের একজনের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে দোকানটিতে চা-নাশতা বিক্রি করে সংসার চালান হুসেন আলী। কোনো দিন কোনো পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি না হলেও এবারই প্রথম এমন হলো বলে তিনি জানিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন মোল্লা বলেন, ‘আমার নাম করে অনেকেই চা-কফি খেয়ে চলে যায়। আর আমার জন্য চায়ের অর্ডার যে দিত, সে এখন ট্রেনিংয়ে থাকায় হুসেন আলীকে বলেছি স্লিপ দেখিয়ে বিল নিতে। আগেও তার বিল ঠিকঠাক দিয়েছি, এবারও দিয়ে দেব।’

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখব। দোকানটি অবৈধ কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।’