সড়কে ভাঙা কালভার্ট প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার আটঘরিয়া-চাঁদভা সড়কের কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।  ছবি: প্রথম আলো
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার আটঘরিয়া-চাঁদভা সড়কের কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। ছবি: প্রথম আলো

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার আটঘরিয়া-চাঁদভা সড়ক দিয়ে ট্রাক, ভ্যান, রিকশা, মোটরসাইকেল, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষের চলাচল। এরপরও সড়কের মধ্যখানে দীর্ঘদিন ধরে একটি কালভার্ট ভেঙে গর্ত তৈরি হয়ে আছে। কিন্তু কালভার্টটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এতে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার চাঁদভা, বাচামারা, কড়ইতলা, খিদিরপুর, পারখিদিরপুর, রতিপুর, সঞ্জয়পুর, ভরতপুর, লক্ষ্মণপুর, দিলালপুর, সড়াবাড়িয়া, হাঁপানিয়া, মাজপাড়া, হাড়লপাড়াসহ প্রায় ১৫টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। গ্রামগুলোতে প্রচুর মৌসুমি সবজি ও কৃষিপণ্য উৎপাদিত হয়। এ সড়ক দিয়েই স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উৎপাদিত পণ্য উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট–বাজারে নিয়ে যান। কিন্তু দীর্ঘদিন সড়কের মধ্যখানে একটি কালভার্ট ভেঙে আছে। তৈরি হয়েছে লম্বা আকৃতির বড় গর্ত। সন্ধ্যার পর চলাচল করতে গিয়ে অধিকাংশ দিনই গর্তে পড়ছে যানবাহন। এতে ঘটছে দুর্ঘটনা।
গতকাল শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা সদর থেকে বাঁয়ে নেমে গেছে সড়কটি। দুই পাশে সবুজ ফসলের মাঠ আর একের পর এক গ্রাম। রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল সড়কটিতে। কিন্তু ভাঙা কালভার্টের কাছে এসেই আটকে যাচ্ছে সবাই। কালভার্টটির চার ভাগের তিন ভাগই ভেঙে আছে। বাকি অংশ দিয়ে কোনোমতে পার হচ্ছে যানবাহনগুলো।
স্থানীয় লোকজন বলেন, সড়কটি আটঘরিয়া পৌরসভার আওতাভুক্ত। আগে এই সড়ক দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ট্রাক-মিনি ট্রাকে সবজি ও ফাসলাদি বাজারে নিত। কিন্তু কালভার্ট ভাঙার পর থেকে তাঁদের প্রায় পাঁচ কিলোমিটর ঘুরে বিকল্প পথ দিয়ে মালামাল আনা–নেওয়া করতে হচ্ছে। ছোট যানবাহনে লোকজন চলাচল করলে মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা।
রিকশাচালক আবুল হোসেন বলেন, দিনে কোনোমতে চলাচল করা গেলেও রাতে চালকদের সমস্যা হয়। অধিকাংশ দিনই অন্তত দু–একটি যানবাহন গর্তে পড়ে। যাত্রীরা হাত-পা কেটে বাড়ি ফেরেন।
চাঁদভা গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, পৌরসভা থেকে ভাঙা এই কালভার্টটির দূরত্ব মাত্র আধা কিলোমিটার। এরপরও পৌর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখছে না। ফলে হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গর্তে যানবাহন পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গত রাতেও একটি ভ্যান গর্তে পড়ে চারজন আহত হয়েছেন।
হোসেন আলী নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘দিনি দিনি কালভার্টের ভাঙা বড় হচ্ছে। আর কয়দিন গেলি আর রাস্তা পার হওয়া যাবিনানে। তাই কালভার্টটা মিরামতের দাবি জানাই।’
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে আটঘরিয়া পৌরসভার প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কালভার্টটি আমরা দেখেছি। মেরামতেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দু–তিন দিনের মধ্যেই কাজ শুরু করা হবে। আশা করছি মেরামত হলে আর দুর্ভোগ থাকবে না।’