ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে বাজার বর্জন

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে বাজার বয়কট করা হয়েছে। বাজার বয়কটের কারণে গতকাল শনিবার (২৩ মার্চ) হাটবারের দিন বৃহত্তর পাইকারি বাজার বোয়ালখালী নতুন বাজারে কোনো পাহাড়ি লোকজন আসেনি। তবে কে বা কারা বর্জনের কর্মসূচি দিয়েছে, তা জানা যায়নি।
বাজারটি জেএসএস এমএন লারমা পক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় অবস্থিত। তবে জেএসএস এমএন লারমা পক্ষের নেতারা বাজার বর্জনের সঙ্গে তাঁদের সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন।
জানা যায়, গত শুক্রবার একটি ফেসবুক আইডি থেকে ‘দীঘিনালা উপজেলা সচেতন জম্মু জনতার’ পক্ষ থেকে বাজার বর্জনের ডাক দেওয়া হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে পাহাড়িদের ভোট দানে বাধাদান ও ভোটারদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বোয়ালখালী নতুন বাজার বয়কট করা হচ্ছে।
গতকাল শনিবার সকালে বোয়ালখালী নতুন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য সাপ্তাহিক হাটবারে ৮ থেকে ১০ ট্রাক কলা, বাদাম, হলুদ বিক্রির জন্য আনা হলেও গতকাল কোনো পণ্য বিক্রির জন্য আনা হয়নি। বাজারে পাহাড়িদের দেখা যায়নি। কয়েকজন পাহাড়ি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তাঁদের খবর পাঠানো হয়েছে বোয়ালখালী বাজার বয়কট করা হয়েছে। বাজারে যেন কেউ না যায়। তবে কে বা কারা এবং কোনো সংগঠন বাজার বয়কট করেছে, সেটা তাঁরা জানেন না।
বোয়ালখালী নতুন বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বোয়ালখালী এলাকায় পাহাড়ি-বাঙালি যুগ যুগ ধরে সম্প্রীতিতে বসবাস করে আসছে। কোনো দিন সম্পর্কের অবনতি হয়নি। হঠাৎ কেন বাজার বয়কটের সিদ্ধান্ত হলো বুঝতে পারছি না। শনিবার হাটবারের দিন কোনো পাহাড়ি বাজারে আসেননি।’
জেএসএস এমএন লারমা পক্ষের উপজেলা সভাপতি মৃণাল কান্তি চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাজার বয়কটের সঙ্গে আমাদের সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিষয়টি আমাদের জানানো হয়েছে। কে বা কারা এমন কর্মসূচি দিয়েছে, তাঁর খোঁজখবর নিচ্ছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাজার বয়কট কর্মসূচির বিষয়টি শুনেছি। সামাজিকভাবে হোক আর রাজনৈতিকভাবে হোক বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে।’