অতর্কিত হামলায় ছাত্রলীগ নেতা গুরুতর জখম

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল শনিবার বিকেলে রাজিব সরকার নামের ছাত্রলীগের এক নেতার ওপর হামলা হয়েছে। হামলায় গুরুতর আহত রাজিবকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে একটি দোকানে যান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বাংলা বিভাগ শাখার যুগ্ম সম্পাদক রাজিব সরকার। এ সময় দুটি মোটরবাইকে করে ছয়-সাতজন তরুণ ধারালো অস্ত্র, লোহার রড ও পাইপ নিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালান। হামলায় রাজিবের মাথায় জখম হয়। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর উপস্থিত লোকজন গুরুতর আহত রাজিবকে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

আহত রাজিব ছাত্রলীগের নেতা মুশফিকুর রহমান ভূঁইয়ার অনুসারী। মুশফিক প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগের সাখাওয়াত হোসেনের অনুসারী পক্ষের সুমন মিয়া, রিসাত হাসান, সোহাগ ইসলাম, আবদুল বারী, মাহবুব সুমনসহ বেশ কয়েকজন হামলা করেছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। স্যারদের সঙ্গে বসে সমাধান করা হচ্ছে।’

এর আগে ১০ মার্চ ছাত্রলীগের বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই ঘটনার জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। গতকালের ঘটনার খবর পেয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. আবদুল গণি, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক মো. রাশেদ তালুকদার, বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আশ্রাফুল করিম, প্রক্টর জহীর উদ্দিন আহমেদ, সহকারী প্রক্টর জাহিদ হাসানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে যান।

ওসমানী মেডিকেলের কর্তব্যরত একজন চিকিৎসক বলেন, রাজিবের মাথার চারটি স্থানে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। তিনি শঙ্কামুক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিস্তারিত বলা যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর জাহিদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আহত রাজিব এখন শঙ্কামুক্ত। ঘটনা তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।