কলকাতার শিল্পীদের পরিবেশনায় মুগ্ধতা

‘এপার বাংলা ওপার বাংলা’ নৃত্য উৎসবে নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা। গতকাল বিকেলে সিলেটে নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের মুক্তমঞ্চে।  ছবি: প্রথম আলো
‘এপার বাংলা ওপার বাংলা’ নৃত্য উৎসবে নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা। গতকাল বিকেলে সিলেটে নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের মুক্তমঞ্চে। ছবি: প্রথম আলো

সিলেটে ছয় দিনব্যাপী এপার বাংলা-ওপার বাংলা নৃত্য উৎসবের চতুর্থ দিনে গতকাল শনিবার ছিল কলকাতার শিল্পীদের পরিবেশনা। ওপার বাংলার শিল্পীদের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে সিলেটের নৃত্যশিল্পীরাও গতকাল নৃত্য পরিবেশন করেছেন। উভয় বাংলার শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় দর্শকেরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

নৃত্যশৈলী সিলেটের উদ্যোগে ছয় দিনব্যাপী এ উৎসব শুরু হয়েছে গত বুধবার। নগরের রিকাবীবাজার এলাকার কবি নজরুল অডিটরিয়ামে এ উৎসব চলছে। গতকাল ছিল উৎসবের চতুর্থ দিন। বিকেল সাড়ে চারটায় অডিটরিয়াম-সংলগ্ন মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা হয়। এতে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সাবেক সভাপতি নাজনীন হোসেন, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, কলকাতার মিত্রায়নের পরিচালক শুভদ্বীপ চক্রবর্তী, নৃত্যশিল্পী বিপ্লব কর ও নৃত্যরং-এর পরিচালক শ্যামল ঘোষ।

আলোচনা পর্বে স্বাগত বক্তব্য দেন আয়োজক সংগঠনের পরিচালক নীলাঞ্জনা যুঁই। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নাট্যসংগঠক নীলাঞ্জন দাশ। পরে সিলেটের নৃত্যশৈলী, শিল্পাঙ্গন ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের নৃত্যাঙ্গনের শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন। এ সময় শিল্পীরা ‘নীল দিগন্তে’, ‘বাংলাদেশের হৃদয় হতে’, ‘সোহাগ চাঁদ’, ‘কে বাঁশি বাজায়’সহ নানা গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় অডিটরিয়ামে ছিল আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অন্যান্যের মধ্যে ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মহুয়া মুখোপাধ্যায়, চিকিৎসক যতন ভৌমিক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিপিবি সিলেটের সাবেক সভাপতি বেদানন্দ ভট্টাচার্য। পরে সিলেটের স্থানীয় তিনটি সংগঠন নৃত্য পরিবেশন করেছে। এরপর ভারতের কলকাতার মহুয়া মুখোপাধ্যায় নৃত্যনাট্য বুদ্ধচরিত পরিবেশন করেন। সবশেষে ছিল কলকাতার মিত্রায়ন পরিবেশিত নৃত্যনাট্য কালমৃগয়া। আজ রোববার যথারীতি বিকেল চারটায় নৃত্য উৎসবের পঞ্চম দিনের অনুষ্ঠান শুরু হবে।

‘বিশ্ববীণা বেজে ওঠে আজ নৃত্যছন্দে’ শীর্ষক স্লোগান নিয়ে নৃত্যশৈলী সিলেট উৎসবের আয়োজন করেছে। এতে সহযোগিতায় রয়েছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সিলেটের ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন, সিলেট সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ ও সিলেট সিক্সার্স। উৎসবে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের নৃত্যসংগঠনের শিল্পীদের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।