উন্নত বাংলাদেশের জন্য ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নওগাঁয় ‘স্বাধীনতা দিবস লং রান (ম্যারাথন দৌড়) প্রতিযোগিতা-২০১৯’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল আটটায় শহরের সার্কিট হাউস চত্বর থেকে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
এই ম্যারাথনকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। মিনি ম্যারাথন, মিডিয়াম ম্যারাথন ও লং ম্যারাথন। সব মিলিয়ে এই দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সের সহস্রাধিক মানুষ।
বর্তমান সরকারের ঘোষিত পাঁচটি ভিশন সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা এবং সরকারের এই লক্ষ্য অর্জনে জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য ‘উন্নত বাংলাদেশের জন্য দৌড়’ স্লোগান নিয়ে এই দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
পাঁচটি ভিশন হলো মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্য অর্জন ভিশন ২০২১, এসডিজি অর্জন ভিশন ২০৩০, উন্নত বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া—ভিশন ২০৪১, স্বাধীনতার ১০০ বছরপূর্তি ও উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে ২০৭১ এবং নিরাপদ বাংলাদেশ—ডেল্টা প্ল্যান ২১০০।
সকাল আটটায় নওগাঁ সার্কিট হাউসের সামনে শহরের প্রধান সড়কে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা হাকিম গোলাম মো. শাহনেওয়াজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান, উত্তম কুমার রায় প্রমুখ।
সার্কিট হাউস থেকে শুরু হয়ে প্রায় তিন কিলোমিটারের মিনি ম্যারাথন শেষ হয় শহরের কাজীর মোড় পয়েন্টে। চার কিলোমিটারের মিডিয়াম ম্যারাথন শেষ হয় শহরের মুক্তির মোড়ে এবং ছয় কিলোমিটারের লং ম্যারাথন প্রতিযোগিতা শেষ হয় জেলা স্টেডিয়াম মাঠে। প্রতিযোগিতায় পুরুষ ও নারী ক্যাটাগরিতে মোট ৩০ জন প্রতিযোগীকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
উদ্বোধনী পর্বে জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ সবকিছুতে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশকে আরও এগিয়ে নিতে বর্তমান সরকার বেশ কিছু ভিশন ঠিক করেছে। এসব ভিশন সম্পর্কে এখনো বহু মানুষ অবগত নন। কেউ কোনো লক্ষ্য ঠিক করলে তা পূরণ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। ঠিক এই দৌড় প্রতিযোগিতার মতো। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হতে হলে শেষ লাইন স্পর্শ করতেই হবে। লক্ষ্য অর্জনের আগে হতোদ্যম হলে চলবে না।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই বাংলাদেশ নিম্নমধ্যবিত্ত আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মর্যাদা অর্জন করেছে। ঠিক তেমনি বর্তমান সরকার যেসব লক্ষ্য ঠিক করেছে, সেগুলোকেও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্জন করতে হবে। যাঁর যাঁর অবস্থান থেকে উন্নত ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।’
পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, ম্যারাথন বাংলাদেশে সেই অর্থে প্রচলিত না হলেও আজকে এখানে বিভিন্ন বয়সী প্রতিযোগীরা যেভাবে উৎসাহের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন, তা ইতিবাচক একটি ঘটনা। বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এ ধরনের উদ্যোগ আসলেই প্রশংসনীয়।
ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা আয়োজনের অন্যতম সমন্বয়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, মানুষকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসকের এটি একটি বিশেষ উদ্যোগ। প্রতিযোগিতায় শিশু, নারী থেকে শুরু করে নানা বয়সের সহস্রাধিক প্রতিযোগী অংশ নিয়েছেন। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের আগামী মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসে পুরস্কৃত করা হবে।