হারানো সাবেরাকে পাওয়া গেল যেভাবে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মেহারী গ্রাম থেকে সাত-আট বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিলেন ৫৫ বছর বয়সী নারী সাবেরা। দীর্ঘ সময় ধরে স্বজনেরা তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে ফিরেছেন। তবে কোনো তাঁর হদিস মেলেনি।

গত শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে রাজধানীর শ্যামলী ফুটওভার ব্রিজের পাশে মুসলিম বিরিয়ানি হাউসের সামনে সাবেরাকে খুঁজে পান তাঁর ফুপাতো ভাই বাবুল মিয়া (৩৫)।

বিরিয়ানি হাউসের ওপরে অবস্থিত একটি ফটো স্টুডিওতে নিজের ছবি নিতে গিয়েছিলেন বাবুল।
বয়স্ক নারীকে দেখে কেমন চেনাচেনা লাগে বাবুলের। তিনি দ্বিধায় পড়ে যান। অন্য একজনকে ডেকে নিয়ে ওই নারীর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন বাবুল। একপর্যায়ে বাবুল বুঝতে পারেন—এই নারীই তাঁর হারিয়ে যাওয়া মামাতো বোন সাবেরা।

প্রথমে বাবুলকে চিনতে পারেননি সাবেরা। পরে বাবুল ফোন দেন তাঁর মামাতো ভাই ও সাবেরার ছোট ভাই আমিনুল হককে।

হারিয়ে যাওয়া বোনকে খুঁজে পাওয়া গেছে—এই কথা শুনে ধানমন্ডি থেকে শ্যামলীতে ছুটে আসেন আমিনুল। তিনি নিশ্চিত করেন, এই নারীই (সাবেরা) তাঁর হারিয়ে যাওয়া বোন। সাবেরাকে নিজের ধানমন্ডির বাসায় নিয়ে যান আমিনুল।

ঘটনার বিষয়ে জানতে পরে বাবুলের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের ফোনে কথা হয়।

বাবুল জানান, সাবেরার বাবার নাম ফিরোজ হোসেন। তিনি মারা গেছেন। ফিরোজের দুই স্ত্রীর মধ্যে বড় ঘরের সন্তান সাবেরা। চার ভাইবোনের মধ্যে সাবেরা সবার বড়।

এলাকায় সাবেরার বিয়ে হয়েছিল। এনামুল (৩৫) নামে তাঁর এক ছেলেও আছে।

সাবেরা
সাবেরা

বাবুলের ভাষ্য, সাবেরা মানসিক রোগে আক্রান্ত। আগেও একবার তিনি বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিলেন। সেবার তাঁকে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। তখন বাড়িতে ফিরিয়ে এনে তাঁর চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। সাত-আট বছর আগে চিকিৎসা চলাকালে দ্বিতীয়বার তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।

দ্বিতীয়বার হারিয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন সাবেরাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশেষে শনিবার ঘটনাচক্রে তাঁর খোঁজ মেলে।