অ্যাথলেট থেকে জনপ্রতিনিধি

মর্জিনা খাতুন।
মর্জিনা খাতুন।

মর্জিনা খাতুন। পৈতৃক বাড়ি কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার মুচাইনগরে। ছিলেন অ্যাথলেট। এখন সাঁতারু গড়তে প্রশিক্ষণ দেন। হয়েছেন সংগঠক। তাঁর দুই ছেলে মেয়ে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত জাতীয় সাঁতারু। এবার মর্জিনা হয়েছেন জনপ্রতিনিধি।

গত রোববার তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলা পরিষদে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মর্জিনা খাতুন বেসরকারি ভাবে জয়ী হন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৮৭৬। নিকটতম প্রার্থী শারমিন আক্তার পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩১২। প্রায় সাড়ে ৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে তিনি জয় পান।

আজ সোমবার সকালে যখন মর্জিনা খাতুনের সঙ্গে কথা হয় তখন তিনি পৈতৃক বাড়ি মুচাইনগর এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভোট পরবর্তী কুশল বিনিময় করছিলেন। মর্জিনা খাতুনের বড় ভাই দেশের অন্যতম সাঁতার প্রশিক্ষক আমিরুল ইসলাম। তিনিও বোনের জয়ে তার সঙ্গে রয়েছেন।

মর্জিনা খাতুন বললেন, সাঁতারের পাশাপাশি তিনি এলাকায় সমাজ কর্মী হিসেবে পরিচিত। গ্রামে ঘুরে সাঁতারু খুঁজে বের করেন। তিনি আমলা এলাকায় তিনটি সাঁতার সংগঠন সাগরখালী, গড়াই ও লালন শাহ সুইমিং ক্লাবের সাতার প্রশিক্ষক। লালন শাহ সুইমিং ক্লাবের সভাপতিও। এ তিনটি ক্লাবে শতাধিক সাঁতারু রয়েছে। যারা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের গিয়েও স্বর্ণ পদক অর্জন করেছেন।

মর্জিনা খাতুনের জন্ম ১৯৭০ সালে। বাবা মধু মণ্ডল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। এমএ পাশ মর্জিনার এক ছেলে আসিফ রেজা জাতীয় সাঁতারু। নৌ বাহিনীতে চাকরি করেন। এক মেয়ে খাদিজা আক্তার বৃষ্টিও জাতীয় সাঁতারু। খাদিজা বিকেএসপিতে উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী।

১৯৮৩ সাল থেকে খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন মর্জিনা। উচ্চ লাফে স্বর্ণ পদক পেয়েছেন। এ ছাড়া শটফুটসহ বিভিন্ন খেলায় অংশ নিয়েছেন। জাতীয় নারী ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন। বিজেএমসি ও বাংলাদেশ আনসারের খেলোয়াড় ছিলেন। ১৯৯৬ সালে খেলার জীবন থেকে সংগঠক হন। এলাকায় বড় ভাই আমিরুল ইসলামের সঙ্গে সাঁতারু গড়ার কাজে যোগ দেন।

মর্জিনা খাতুনের স্বপ্ন সাঁতারু গড়তে জনপ্রতিনিধি হিসেবে যা যা করার তার সব টুকু করবেন। এ ছাড়া এলাকার মানুষের ভাগ্য বদলে সহযোগিতার হাত সমসময় রাখবেন।