মাহজাবিন খালেদের ফেসবুক আইডি হ্যাকড

সাবেক সাংসদ মাহজাবিন খালেদের ফেসবুক আইডি ও ভেরিফায়েড পেজ হ্যাক হয়েছে। এক মাস পার হয়ে গেলেও আইডি বা পেজ উদ্ধার হয়নি। গত ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁর ফেসবুক আইডি অন্যের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এ বিষয়ে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

মাহজাবিন খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, তিনি বিদেশে থাকা অবস্থায় গত ২১ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে ঢুকতে পারছিলেন না। পরে ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরেও ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে না পেরে ২৭ ফেব্রুয়ারি গুলশান থানায় জিডি করেন।

সাবেক এই সাংসদ বলেন, ‘অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে হ্যাকাররা আমাকে বলে, আইডি ফেরত চাইলে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। বিট কয়েন অথবা একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ওই টাকা শোধ করতে হবে। ওই ব্যাংকের একজন হিসাবধারীর সঞ্চয়ী হিসাব নম্বরও তারা আমাকে দিয়েছে।’

মাহজাবিন মুক্তিযুদ্ধে ২ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার খালেদ মোশাররফের মেয়ে। 

নিজের ফেসবুক আইডি ও ভেরিফায়েড পেজ উদ্ধারে আইনি সহায়তার জন্য জিডির পাশাপাশি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) অফিসেও গিয়েছিলেন মাহজাবিন। তিনি বলেন, ‘সাইবার ক্রাইম ইউনিট থেকে আমাকে বলা হয়েছে, হ্যাক হওয়া আইডির সব তথ্য হ্যাকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় এখন হ্যাকারকেই আইডির প্রকৃত মালিক মনে করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ফলে বিষয়টি সমাধানে বেশি সময় লাগছে। তবে তাঁরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শিগগিরই উদ্ধার হবে বলে আশা দিয়েছেন।’

মাহজাবিন অভিযোগ করেন, হ্যাকড ফেসবুক পেজ ও আইডি থেকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। ফলে এক ধরনের উদ্বেগের মধ্যে আছেন তিনি।

সাবেক সাংসদ বলেন, ‘হ্যাকার শুধু পেজ হ্যাক করেই বসে নেই। ওই পেজ থেকে সরকার ও আওয়ামী লীগবিরোধী বিভিন্ন পোস্ট দিচ্ছে, যা আমার জন্য বিব্রতকর এবং অসম্মানজনক। হ্যাকার কখন কি পোস্ট দেয়, এই দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারি না।’ তিনি বলেন, ‘যদি এই আইডি-পেজ উদ্ধার করা সম্ভব না হয়, তাহলে এগুলো একেবারে বন্ধ করা গেলেও মানসিক শান্তি পাই।’