আ.লীগ স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করেছে

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭১ সালে যে চেতনা যে আদর্শকে সামনে নিয়ে এ দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, স্বাধীনতা অর্জন করে নিয়ে এসেছিল, সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ আজ ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। দেশের মানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং তাদের মুক্তির স্বাধীনতা ধ্বংস করে দিয়েছে এই আওয়ামী লীগ।

আজ সোমবার বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতা মানে কী? স্বাধীনতা মানে কি একটা ভূখণ্ডের স্বাধীনতা, স্বাধীনতা মানে শুধু একটি পতাকা না। স্বাধীনতার অর্থ হচ্ছে এই ভূখণ্ডে বাস করে যারা, তাদের স্বাধীনতা, তাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, তাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং তাদের মুক্তির স্বাধীনতা। যা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে এই আওয়ামী লীগ।’

স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর আবার নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্য দিয়ে ছদ্মবেশে একটি বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই নেতা এখন পরিত্যক্ত নির্জন কারাগারে। প্রতিদিন তাঁর শরীর খারাপ হচ্ছে। কী দুর্ভাগ্য ও ভয়ংকর যে এই ভয়াবহ সরকার তাঁর চিকিৎসা পর্যন্ত করছে না।’ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়েই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবেন বলে জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ইতিহাসকে বিকৃত করা হচ্ছে। স্বাধীনতার ঘোষণা জিয়াউর রহমান দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। বিভিন্ন স্থাপনা থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষের মনে জিয়ার নামে থাকবে।

জিয়াউর রহমান ফরম পূরণ করে বাকশালে যোগ দিয়েছিলেন—আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি জিয়াউর রহমানের একান্ত সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন উল্লেখ করে বলেন, জিয়াউর রহমানের কাছে বাকশালে যোগদানের ফরম পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু জিয়া যোগ দেননি। আওয়ামী লীগ মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।