বিচার চেয়ে পথে পরিবারটি

রইচ উদ্দিনের বয়স ৭০ বছর। স্ত্রী, এক ছেলে ও ছেলের বউ নিয়ে পরিবার। সবাই মিলে রইচ উদ্দিনের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া বাড়িতে বসবাস করতেন। প্রভাবশালী এক প্রতিবেশী তাঁর বাড়ির কিছু অংশ দখল করে টিনের বেড়া দিয়ে রইচ উদ্দিনের বাড়িতে চলাচলের রাস্তা আটকে দিয়েছেন। স্থানীয়ভাবে সালিস করেও কোনো লাভ হয়নি। গতকাল সোমবার সকালে রইচ উদ্দিন ভাঙ্গুড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের চাঁদপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে।
স্থানীয় লোকজন ও বৃদ্ধ রইচ উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি ও ছেলে দুজনই শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালান। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া পৌনে ১০ শতাংশ জমিতে ঘর তুলে পরিবার নিয়ে বাবা ও ছেলে থাকেন। সম্প্রতি সেই জমির পৌনে ৪ শতাংশ আশরাফ আলী নামের প্রভাবশালী এক প্রতিবেশী নিজের বলে দাবি করেন। তিনি জমিটুকু দখল করে টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেন। এতে রইচ উদ্দিনের বাড়িতে প্রবেশের পথ বন্ধ হয়ে যায়। তিনি সমস্যার সমাধানে স্থানীয় লোকজনের কাছে বেশ কয়েকবার ধরনা দেন। কিন্তু কিছুতেই আশরাফ আলী দখল ছাড়তে রাজি হননি। ফলে অপারগ হয়ে রইচ উদ্দিন গত শুক্রবার বিকেলে পরিবার নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বের হয়ে যান।
রইচ উদ্দিন গতকাল বিকেলে জানান, তিনি কয়েক দিন ধরে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ বহু মানুষের কাছে বিচারের জন্য গেছেন। কিন্তু আশরাফ আলী প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে রাজি হননি।
তবে এ প্রসঙ্গে খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ কোনো অভিযোগ নিয়েও আসেননি।’
তবে ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, ‘গ্রামের লোকজন নিয়ে বিরোধ মীমাংসার জন্য বৈঠক হয়েছে শুনেছি। তবে আমাকে ডাকা হয়নি।’
যোগাযোগ করা হলে রইচ উদ্দিনের প্রতিবেশী আশরাফ আলী বলেন, ‘কাগজপত্র অনুযায়ী রইচ উদ্দিন ৬ শতক জমির মালিক। তাই তাঁকে সেই জমি ছেড়ে দিতে বলায় তিনি রাগ করে বাড়ি থেকে চলে গেছেন। আমি জোর করে কোনো দখল নিইনি।’