৩০ বছরের রাজনীতিতে প্রথম জয়

গাংনীর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ খালেক।
গাংনীর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ খালেক।

দীর্ঘ ৩০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে প্রথমবারের মতো একটি নির্বাচনে জয় পেয়েছেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক। উপজেলা নির্বাচনে গাংনীতে দলের চারজন বিদ্রোহী প্রার্থীকে পরাজিত করে প্রথমবারের তিনি নির্বাচিত হলেন জনপ্রতিনিধি হিসেবে।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এম এ খালেক তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৪৭ হাজার ৩ শ ৬২ পান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিরুল ইসলাম পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮ শ ৬৬ ভোট। ১৯ হাজার ৪৯৬ ভোটের ব্যবধানে খালেক জয় পান।

গাংনী উপজেলা ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। উপজেলাটির মোট ভোটার ২ লাখ ২৪ হাজার ৭৩১ জন। নারী ভোটার আছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৮০১ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১০ হাজার ৯২৩ জন।

২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে এম এ খালেক নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থী আমজাদ হোসেনের কাছে পরাজিত হন। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয় তাঁকে। ওই নির্বাচনের দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মকবুল হোসেন স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচন করে জয়ী হন। পরাজিত হন খালেক।

উপজেলা আওয়ামী লীগের দুজন নেতা বলেন, এম এ খালেকের রাজনৈতিক জীবনে এবারই প্রথম নির্বাচনে জয় পাওয়ার ঘটনা ঘটল। এই উপজেলা নির্বাচনের ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও পরিবেশ খুব ভালো ছিল। নির্বাচনটি ছিল মূলত খালেকের রাজনীতিতে টিকে থাকার যুদ্ধ। তিনিও সেভাবেই নির্বাচন যুদ্ধটি করেছেন।

নির্বাচনে জয় পাওয়া এম এ খালেক বলেন, ‘উপজেলাবাসীর কাছে জনবান্ধব উপজেলা গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমি। এবার উপজেলার উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। সামনে অনেক কাজ আছে। জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর অনেক দায়িত্ববোধ কাজ করছে।’

এম এ খালেক ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতিতে যুক্ত হন। প্রথমে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। এরপর যুবলীগের রাজনীতি থেকে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন।