কালীগঞ্জে স্বামীর বিরুদ্ধে এক সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ভাটিরা অলিপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার এ নিয়ে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।

মারা যাওয়া গৃহবধূর নাম রোকসানা বেগম। তিনি একই উপজেলার উপজেলার চৌড়া নয়াবাড়ি গ্রামের ইসমাইল শেখের মেয়ে ও চার বছর বয়সী এক কন্যাসন্তানের জননী। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম হুসাইন শেখ। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।

রোকসানার বাবা ইসমাইল শেখ ও চাচা নুর মোহাম্মদ অভিযোগ করেন, পারিবারিক কলহের জেরে রোকসানাকে তাঁর স্বামী প্রায়ই মারধর করতেন। হত্যার আগের দিন রোববারও রোকসানাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেছেন। এরপর সোমবারও কয়েক দফা মারধরের একপর্যায়ে রোকসানা মারা যান। এতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন রোকসানা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচারের চেষ্টা চালান।

রোকসানার বাবা ইসমাইল শেখ আরও বলেন, ‘সোমবার সকালে আমার মেয়ের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। পরে তাঁর স্বামীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে তাঁর ছোট ভাই ফোন রিসিভ করে বলে, “আপনার মেয়ে অসুস্থ। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে”।’

ইসমাইল শেখের ভাষ্য, খবর পেয়ে তাঁরা হাসপাতালে গিয়ে রোকসানার কোনো সন্ধান পাননি। পরে স্বামীর বাড়িতে গিয়ে রোকসানার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। এরপর তাঁরা বিষয়টি পুলিশে অবহিত করেন।

কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুলতান উদ্দিন বলেন, সোমবার রাতে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে আজ মঙ্গলবার রোকসানার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দীক বলেন, ‘আজ বিকেলে রোকসানার বাবা বাদী হয়ে জামাই হুসাইন শেখের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। আসামি পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

এ ব্যাপারে রোকসানার শ্বশুর পক্ষের কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাঁদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কোনো সদস্যকে পাওয়া যায়নি। আর যাঁদের ফোন নম্বর পাওয়া গেছে, সেগুলোও ছিল বন্ধ।