বিজিবির গুলিতে ২ 'ইয়াবা পাচারকারী' নিহত

জব্দ ইয়াবা বড়ি। ফাইল ছবি
জব্দ ইয়াবা বড়ি। ফাইল ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। বিজিবির দাবি, মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে আসার সময় ওই দুজন বিজিবির গুলিতে নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের পোশাক দেখে বিজিবির ধারণা করছে, তাঁরা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা।

আজ বুধবার ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালীর নাফ নদীসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

টেকনাফ ২ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার প্রথম আলোকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বিজিবির ভাষ্য, নিহত পাচারকারীদের কাছে ১ লাখ ৯০ হাজার ইয়াবা পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তাঁদের পরনে থাকা টি–শার্ট, হাফপ্যান্ট ও লুঙ্গি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা।

টেকনাফ ২ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার প্রথম আলোকে বলেন, আজ ভোররাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় দিয়ে নাফ নদী সাঁতরে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান  নিয়ে দুই পাচারকারী বাংলাদেশে ঢোকেন। এ সময় পাচারকারীরা বিজিবির টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে বেড়িবাঁধ দিয়ে পালানোর চেষ্টা চালান। তাঁদের থামানোর জন্য বিজিবির টহল দল সংকেত দেয়। তবে সংকেত অমান্য করে তাঁরা পালাতে গেলে বিজিবি গুলি করে। মরদেহ দুটির সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ দুটি উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ প্রথম আলোকে বলেন, গুলিবিদ্ধ অজ্ঞাতনামা লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। মরদেহে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে। লাশের কোনো পরিচয় পাওয়া না গেলে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত বছরের ৪ মে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এ অভিযানে র‍্যাব-পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ ও এলাকায় মাদকের প্রভাব বিস্তারের ঘটনায় কক্সবাজার জেলায় ৭১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১০ জন রোহিঙ্গাসহ শুধু টেকনাফে ৫০ ও উখিয়ায় ২ জন নিহত হয়েছেন।