এপ্রিলের শুরুতেই কালবৈশাখী

ফাল্গুনে যদিও দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে, চৈত্র যাচ্ছে শুকনো। শোনা যাচ্ছে কালবৈশাখীর পদধ্বনি। আবহাওয়া অধিদপ্তর এমন আভাসই দিচ্ছে। আভাসে বলা হচ্ছে, এপ্রিলের প্রথম তিন দিন সারা দেশে কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে।

শেষ কবে রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছিল? উত্তর খুঁজতে খাতা–কলম নিয়ে হিসাব করতে হবে। কারণ, ঢাকার রাজপথ বেশ অনেক দিন ধরেই বৃষ্টিভেজা হচ্ছে না। চৈত্র মাস আসার পর থেকে গরম বেশ চেপে ধরতে শুরু করেছে। আজ বুধবার সকাল থেকে ঢাকার আকাশ কিছুটা অন্য রকম—ধূসর। সূর্যের তেজ খানিকটা কম।

আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

চৈত্রের উত্তাপ বাড়তে পারে। ২৮ ও ২৯ মার্চ আবহাওয়া হয়ে যাবে বেশ শুষ্ক। মার্চের বিদায়ের পর ধেয়ে আসতে পারে কালবৈশাখী। এটি উত্তর, মধ্য ও পূর্বাঞ্চলে হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, আগামী ১, ২ ও ৩ এপ্রিল টানা তিন দিন ধরে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে। দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, ঢাকা, রাজশাহী হয়ে চট্টগ্রামের দিকেও কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে।

এই ঝড়ের স্থায়িত্ব খুব কম সময়ের জন্য। বাতাসের গতিবেগ ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার ঝড়ের সময় থাকবে। মানুষ যেন তাই ঝড় মোকাবিলায় একটু আগাম প্রস্তুতি নিয়ে থাকে।

এপ্রিলে কালবৈশাখী ছাড়াও দাবদাহ বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে বেশ কয়েকবার দাবদাহ বয়ে যেতে পারে। এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। একই সঙ্গে উত্তাল হতে পারে বঙ্গোপসাগর। সৃষ্টি হতে পারে দু-একটি নিম্নচাপ। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ পরিণত হতে পারো ঘূর্ণিঝড়ে।