খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলটির প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন। ফাইল ছবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলটির প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন। ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, কারাবন্দী দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এর দায়দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষ ও সরকারকে বহন করতে হবে। কারণ, এখন খালেদা জিয়ার সব দায়দায়িত্ব কারা কর্তৃপক্ষের।

আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এই অভিযোগ করেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, কারাবন্দী খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যরা গতকাল দেখা করতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে তাঁরা বলেছেন, খালেদা জিয়া আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা একজন সুস্থ ব্যক্তিকে (খালেদা জিয়া) কারাগারে নিয়ে যেতে দেখেছি। কিন্তু তিনি এখন এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে যে কারাগারের কক্ষে চলাচল করতে পারছেন না। আর সীমাহীন যন্ত্রণার মধ্যে তিনি দিন পার করছেন।’

বিএনপির মহাসচিবের ভাষ্য, গত সাড়ে তিন মাস খালেদা জিয়ার শারীরিক কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি। হাইকোর্টের নির্দেশে গত অক্টোবরে বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। আর কোনো চিকিৎসা না দিয়ে, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা না বলে, ৮ নভেম্বর ফের তাঁকে কারাগারে নেওয়া হয়। ওই দিন থেকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক খালেদা জিয়াকে পরীক্ষা করেননি।

মির্জা ফখরুল বলেন, তাঁরা বারবার কারা কর্তৃপক্ষ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়াকে দেখতে যায়। তারা পরীক্ষা করার জন্য গিয়েছিল, এ কথা বলা যায় না। কারণ, তারা কোনো যন্ত্র নিয়ে যায়নি। তারা গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছে। তারা যাওয়ার পর তাদের কাছে খালেদা জিয়ার প্রশ্ন ছিল, এই সাড়ে তিন মাসে তো তারা একবারও তাঁর খোঁজ নেয়নি।

খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য অবিলম্বে তাঁকে তাঁর পছন্দের হাসপাতালে স্থানান্তরের দাবি জানান মির্জা ফখরুল।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।