দখল দূষণ অনিয়মের গ্রাসে নদী-নৌপথ

তুরাগের আশুলিয়া অংশের চিত্র। বাড়ছে দূষণের মাত্রা। বিরুলিয়া, আশুলিয়া, ঢাকা। ছবি: দীপু মালাকার
তুরাগের আশুলিয়া অংশের চিত্র। বাড়ছে দূষণের মাত্রা। বিরুলিয়া, আশুলিয়া, ঢাকা। ছবি: দীপু মালাকার
>

*১৯৬০-এর দশকে দেশে নদী ছিল ৪৪৫টি
*এখন দেশে নদী রয়েছে ২৩১টি
*নৌপথ এখন প্রায় ৪,০০০ কিমি
*পানির মৌসুমে নৌপথ ৬,০০০ কিমি
*নদী বাঁচানো, পরিসর বাড়ানো চ্যালেঞ্জ

সারা দেশে নদীগুলো দখল হয়ে, দূষণে দম বন্ধ হয়ে, পলিচাপা পড়ে মরে যাচ্ছে। নদীর শত্রুরা প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবান। খননকাজে কুলাচ্ছে না, আছে দুর্নীতিরও অভিযোগ। ছোট হতে থাকা নৌপথে ত্রুটিযুক্ত নৌযানের ভিড়। যাত্রী উপচে পড়ছে। তদারকি শিথিল।

নদী বাঁচানো আর নৌযাত্রা নির্বিঘ্ন ও সুশৃঙ্খল করে এর পরিসর বাড়ানো সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ—এটা দুই কথায় বলে ফেলা যায়। চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার কাজটি অবশ্য অথই পানিতে হাবুডুবু খাওয়া কিংবা প্রবল ঢেউয়ের সঙ্গে নিরন্তর লড়ে চলার মতো।
ক্রমাগত কমতে কমতে নৌপথ এখন নেমে এসেছে হাজার চারেক কিলোমিটারে। পানির মৌসুমে দাঁড়ায় হয়তো ৬ হাজার কিলোমিটার। গত শতকের ষাটের দশকে এ দেশে নদী ছিল ৪৪৫টি। এখন রয়েছে ২৩১টি।
দেশে যাত্রীবাহী, মালবাহী, তেলবাহী, বালুবাহীসহ ১৪ ধরনের যন্ত্রচালিত নৌযান চলাচল করে। নিবন্ধন আছে ১২ হাজার ৪০১টির। অনিবন্ধিত বেশুমার বলা চলে।

দখল বড় চ্যালেঞ্জ
নৌপথের দায়িত্ব বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ)। কর্তৃপক্ষটির হিসাবে, বিআইডব্লিউটিএর আওতাধীন এলাকায় নদী ও তীরভূমির ২ হাজার একরের বেশি জমি বেদখল হয়ে আছে। দখলদারদের মধ্যে আছেন বিভিন্ন আমলে ক্ষমতাসীন দলের ছোট-বড় নেতারা আর রাজনৈতিক ক্ষমতার পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া স্থানীয় মাস্তান-দুর্বৃত্ত থেকে শুরু করে শিল্পপতিরা। আছে খোদ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

নদী রক্ষার কাজ সরকারের একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত। সমন্বয়ের অভাব আছে। সাভার ও মানিকগঞ্জে বংশী, সিরাজগঞ্জে যমুনা, নাটোরে আত্রাই, সিলেটে কুশিয়ারাসহ সারা দেশের অনেক নদীর জায়গার যথাযথ পূর্ণাঙ্গ জরিপ নেই। দখল ঠেকানো বা বেদখলি জমি পুনরুদ্ধারের কাজে সেটা আরেক বড় বাধা।
নতুন সরকার ঢাকঢোল পিটিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামে অবৈধ স্থাপনা হটিয়ে বড় নদীগুলো দখলমুক্ত করতে জোরেশোরে লেগেছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সামাদ প্রথম আলোকে বলেছেন, পর্যায়ক্রমে সারা দেশেই নদী দখলের বিরুদ্ধে অভিযান হবে।
কিন্তু নদী দখল হয়, উচ্ছেদ হয়, আবার দখল হয়। যেমন গত মাসের শুরুতে বিআইডব্লিউটিএ ঢাকার লালবাগে বুড়িগঙ্গার তীরে প্রায় এক একর এলাকা থেকে রিকশার গ্যারেজ উচ্ছেদ করেছিল। পরের সপ্তাহেই গ্যারেজগুলো আবার ফিরে এসেছে। অতীতে স্বয়ং বিআইডব্লিউটিএ শ্যামপুরে নদীর জমি দখলমুক্ত করে সেখানে ইকোপার্ক তৈরি করেছে।

গত আট মাসে বিআইডব্লিউটিএ ঢাকায় বুড়িগঙ্গা, নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা এবং চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীতীরের ৬৪ একর জমি উদ্ধার করেছে। লালবাগ ও কামরাঙ্গীরচরে অনেক দখলদার ফিরেও এসেছে।
ঢাকার পাশে তুরাগ নদে ৫৫টি বড় দখলের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোই যাচ্ছে না। বিআইডব্লিউটিএর সূত্র বলছে, এই দখলদারেরা অত্যন্ত প্রভাবশালী। বেশ কিছু হচ্ছে সরকারের ঘনিষ্ঠ বড় ব্যবসায়ী ও শিল্পগোষ্ঠী। এগুলোর মধ্যে আবাসন কোম্পানি, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ইটভাটা বা সিএনজি স্টেশন আছে। আছে ধর্মীয় স্থাপনা। দখলদারদের অনেকের মামলা করার কারণেও ‍উচ্ছেদ ঠেকে গেছে।

আবার লালবাগে বালুর মাঠসংলগ্ন আদি বুড়িগঙ্গা নদীতীরে অভিযান বন্ধ হয়ে গেছে। তীর ধরে ৬ কিলোমিটার এলাকা ঢাকা জেলা প্রশাসনের অধীনে আছে। সেখানে একটি বেসরকারি কোম্পানি কলম আর প্লাস্টিকের কারখানা করেছে। পাশাপাশি তারা একটি পার্ক করতে চেষ্টা করছে।
বিআইডব্লিউটিএর সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান কমোডর মোজাম্মেল হক বলছেন, জেলা প্রশাসন এখন পর্যন্ত আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের তীর চিহ্নিত করে বৈধ-অবৈধ স্থাপনা নির্ধারণ করেনি। তাই উচ্ছেদের কাজ করা যায়নি।
বরিশালে কীর্তনখোলা, খুলনায় ভৈরব ও রূপসা, যশোরের নোয়াপাড়ায় ভৈরব, পটুয়াখালীতে লোহালিয়া, চাঁদপুরে ডাকাতিয়া আর মুন্সিগঞ্জে ধলেশ্বরী নদীতীরের অনেক অংশ বেদখল হয়ে আছে। বিআইডব্লিউটিএ ও জেলা প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কয়েকটি সূত্র বলছে, এসব দখলের পেছনে রাজনৈতিক ও অন্য প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আছেন।
দখলের নানা কৌশল আছে। আছে বালু-পাথর আহরণে দস্যুতা। বাঁশের ঘেরাও দিয়ে বালু-মাটি ফেলে নদী ভরে ফেলে দখল করা হয়। আবার বর্জ্য ফেলেও নদী ভরাট করে দখল চলে।

দূষণে দম বন্ধ
নদীদূষণ রোধের জন্য গত মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঢাকার চার নদী ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর জন্য দুটি কমিটি করেছে। ১০ বছরের পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ, সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, পরিবেশ অধিদপ্তর, শিল্প মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ (পাউবো) কয়েকটি সংস্থা এটি বাস্তবায়ন করবে।
পাউবোর সাবেক মহাপরিচালক ম ইনামুল হক বলেন, এ পরিকল্পনার বাস্তবায়নকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া উচিত। নদীর জায়গা দখলমুক্ত করে ইকোপার্ক করলে নদী ভরাটই থেকে যাবে। দূষণ কমবে না, পানিপ্রবাহও বাড়বে না। তাঁর মতে, নদী রক্ষা কমিশনকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে রাখলে মহাপরিকল্পনা কার্যকর করা সম্ভব হবে।

২০১৪ সালে গঠিত জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে সম্প্রতি হাইকোর্ট নদীর অভিভাবকের দায়িত্ব দিয়েছেন। সরকারকে বলেছেন কমিশনকে স্বাধীন ও কার্যকর করতে সব ব্যবস্থা নিতে।
বিআইডব্লিউটিএর হিসাবে, ঢাকায় সদরঘাট ও আশপাশে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বুড়িগঙ্গার বুকে বছরের পর বছর ধরে প্রায় ১০ ফুট উঁচু পলিথিনের বর্জ্য জমেছে। লোহার মতো শক্ত এই পলিথিনের পাহাড় কাটার উপযোগী কোনো যন্ত্র বিআইডব্লিউটিএর নেই। এখন নৌবাহিনীর বিশেষ খননযন্ত্র দিয়ে কাটার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। হাজারীবাগ, শ্যামবাজার ও বছিলায় গিয়ে দেখা যায়, নানা জাতের বর্জ্যে নদীর জায়গায় জায়গায় চর তৈরি হয়েছে।

বর্জ্য সরালেও লাভ হয় না। বিআইডব্লিউটিএ ২০১১-১২ সালে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের ৪ কিলোমিটার অংশে বর্জ্য সরানোর জন্য একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প নিয়েছিল। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিলের প্রায় ১৭ কোটি টাকা খরচ করে ৮ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য তোলা হয়েছিল। কিন্তু জায়গার অভাবে সেগুলোর বড় অংশ নদীর পাড়ে রাখা হয়। ক্রমে তা আবার নদীতেই ফিরে যায়।
দেশের শহর-বন্দরগুলোতে নদীর তীর ঘেঁষে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা, হাটবাজার আর বাসস্থান গড়ে উঠেছে। রাসায়নিক থেকে গৃহস্থালি—বিচিত্র জাতের বর্জ্য পড়ে পানি যেমন দূষিত হচ্ছে, তেমনি পাড় ও তলদেশ ভরাট হচ্ছে।

খনন ও দুর্নীতি
বিআইডব্লিউটিএর হিসাবে, দেশে এখন শুকনো মৌসুমে নৌপথের দৈর্ঘ্য ৪ হাজার কিলোমিটারের মতো। আর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পানিসম্পদ প্রকৌশল বিভাগের জরিপ (১৯৯৮) বলছে, প্রতিবছর প্রায় ২৫ হাজার লাখ টন পলি জমে নৌপথ কমেই চলেছে।
নিয়মিত পর্যাপ্ত খনন করা হচ্ছে না। আবার খনন করা মাটি তীরে রাখায় সেটা আবার নদীতে গিয়ে মিশছে। খননকাজের পর মাটি বা বর্জ্য রাখার জায়গা পাওয়া যায় না—এ বিষয়ে আগে থেকে পরিকল্পনাও করা হয় না। এ কথা বলছেন খোদ বিআইডব্লিউটিএ আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
খনন নিয়ে আরেক অভিযোগ, এ কাজে বিস্তর দুর্নীতি হয়। বিআইডব্লিউটিএ বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গত ১০ বছরে তারা ১ হাজার ৬০৬ কিলোমিটার নদীপথ খনন করেছে। সংশ্লিষ্ট দুজন কর্মকর্তা বলেছেন, মোংলার ঘষিয়াখালিতে গত এক বছরে ৬০ কোটি টাকার খননকাজ হয়েছে। বাদবাকি সারা দেশে হয়েছে ৩৭ কোটি টাকার খনন।
কিন্তু দেশজুড়ে খনন হওয়া নদী এলাকার নৌযানমালিকেরা প্রায়ই বিআইডব্লিউটিএকে চিঠি দিয়ে জানতে চান এত খনন হয়েছে কি না। কোনো চিঠিতে বলা হচ্ছে, নদীতে পলি ও বালু পড়ে ডুবোচর হয়েছে। কোনোটির অভিযোগ, গভীরতা কমে যাওয়ায় নৌযান চলছে না।
নৌযানমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল সংস্থার জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বদিউজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিআইডব্লিউটিএকে লিখিতভাবে বলেছি খননকাজের কমিটিতে লঞ্চমালিকদের প্রতিনিধি রাখতে। তাহলে আমরা খননকাজ নিজ চোখে দেখতে ও তদারকি করতে পারতাম। কিন্তু তা কখনোই করা হয় না।’
খননকাজ নিয়ে খোদ বিআইডব্লিউটিএর নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগেরও প্রশ্ন আছে। বিভাগটি ইতিমধ্যে খনন হওয়া নদীতে আবার খনন করতে বলছে। পাউবোও খননকাজ করে। সংস্থা দুটির কাজের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ আছে।

নৌযান ও নিরাপত্তা
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের উচ্চপর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার হিসাবে সারা দেশে ৪০ হাজারের কাছাকাছি যন্ত্রচালিত ছোট-বড় নৌযান আছে, যেগুলোর কোনো নিবন্ধন নেই। সুতরাং মালিকদের দায়ও নেই।
এমন প্রায় ৫০০ নৌযানে প্রধান ডেকের নিচের অংশটা থাকে পানির নিচে। এগুলোতে যাত্রীদের বসার আসন কার্যত ‍পানির উপরিতলের নিচে থাকে। অথচ এটা বেআইনি।
আবার আড়াইতলা উচ্চতার প্রচুর নৌযান রয়েছে, যেগুলো এক ইঞ্জিনবিশিষ্ট। থাকা দরকার দুটি ইঞ্জিন। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া-শিমুলিয়া রুটে এ ধরনের ৮৫টি নৌযান চলাচল করছে। নারায়ণগঞ্জে রয়েছে ৩৫টি। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে এগুলো চলে।
সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের নৌ জরিপ বিভাগের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, এগুলোতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রশাসনিক আদেশে এগুলোর নিবন্ধন বন্ধ আছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নৌযন্ত্র ও নৌকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান মীর তারেক আলী প্রথম আলোকে বলেন, অনেক নৌযান ইচ্ছামতো যাত্রী বোঝাই করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে। নিবন্ধন আইনে নৌযানের মাপ অনুযায়ী যাত্রীসংখ্যা বলা আছে, কিন্তু সেটা মান্য করা হচ্ছে কি না, তা তদারকির কোনো বিধান নেই।

২০১৬ সালে পরপর তিনটি ট্রলার দুর্ঘটনায় অন্তত ৫০ জন যাত্রী নিহত হয়। গত বছর আটটি লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৪৫ জন মারা গেছে। ঈদের মৌসুমে অতিরিক্ত যাত্রীবাহী লঞ্চে দুর্ঘটনা ঘটেছে। বালুবাহী যান বা বাল্কহেড ডুবেও প্রাণহানি ঘটছে।
নদী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলছেন, নৌযান নিয়ন্ত্রণের আইনগুলোর ঠিকঠাক প্রয়োগ করলে দুর্ঘটনা অনেক কমে যাবে। নদীকে নতুন জীবন দেওয়াও অসম্ভব নয়। কিন্তু সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার সদিচ্ছা থাকা চাই। সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ সেখানেই।
আইনুন নিশাত প্রথম আলোকে বলেন, ‘নদী রক্ষার বিষয়ে আমরা কোনো দিন নজর দিইনি। যে যেভাবে পেরেছে দখল, দূষণ করেছে। এমনকি নদী বাঁচানোর বিষয়ে সংবিধানের সংশোধনীটিও হয়েছে অনেক পরে, ২০১১ সালে। নদীতে নৌচলাচলের সুস্থ ব্যবস্থা, নদীর পানির সঙ্গে ভূগর্ভস্থ পানির সম্পর্ক, নদীর পানির গুণমান—সব প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমরা বুঝেছি যে নদী প্রকৃতির একটি বড় অংশ।’ তিনি বলেন, দখল-দূষণ রোধ এবং নদী খনন করতে হবে ঠিকঠাক সার্বিক পরিকল্পনা নিয়ে, জবাবদিহি নিশ্চিত করে।

আগামী পর্ব: জনপ্রশাসন

আরও পড়ুন: