মতলব উত্তরে ৬ কিশোরীর বাল্যবিবাহ বন্ধ

বাল্যবিবাহ । প্রতীকী ছবি
বাল্যবিবাহ । প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় দুই দিনে ছয় কিশোরীর বিয়ে বন্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন। মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তারের হস্তক্ষেপে গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার বিয়ে থেকে রক্ষা পায় এসব কিশোরী।

ইউএনওর কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় উপজেলার ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীর সঙ্গে সোহাগ মিয়া (২৪) নামের এক যুবকের বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। গতকাল বিকেলে ১৪ বছর বয়সী আরেক কিশোরীর সঙ্গে মো. ওয়াজকুরুনী (২৮) নামের এক যুবকের বিয়ের আয়োজন চলছিল। এ ছাড়া গতকাল সন্ধ্যায় ১৬ বছর বয়সী কিশোরীর সঙ্গে মো. জুলহাস (৩৫) নামের এক ব্যক্তির বিয়ের খবর পেয়ে দুজন কর্মচারীকে নিয়ে ইউএনও শারমিন আক্তার এসব কিশোরীর বাড়িতে যান এবং বিয়ে বন্ধ করেন।

আজ ১৫ বছর বয়সী কিশোরীর সঙ্গে মো. সারওয়ার (২৫) নামের এক যুবকের, ১৫ বছর বয়সী আরেক কিশোরীর সঙ্গে মো. বোরহান মোল্লা (২৮) নামের এক যুবকের এবং ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর বিয়ের খবর পেয়ে ইউএনও উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন।

বাল্যবিবাহের বিষয়ে ইউএনও শারমিন আক্তার বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক অপরাধ। এর ফলে কিশোরীদের জীবন ও ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যায়। অল্প বয়সে মা হওয়ার কারণে অনেক কিশোরী শারীরিক ও মানসিক ঝুঁকিতে পড়ে। এসব কারণে বাল্যবিবাহ বন্ধে তাঁর প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে গত দুই দিনে ছয় কিশোরীর বিয়ে বন্ধ করেছেন। এ ছাড়া সাবালিকা হওয়ার আগে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না মর্মে মেয়েদের অভিভাবকদের লিখিত অঙ্গীকারনামাও আদায় করেন তিনি। সামাজিক মর্যাদার কথা চিন্তা করে এসব কিশোরী ও যুবকদের পিতামাতা বা অভিভাবকদের আটক করা হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।