ভাইবোন পরিচয়ে মাদক ব্যবসা

sylhet
sylhet

সীমান্ত এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চলাচল করেন। পরিচয় দেন একে অপরের ‘ভাইবোন’ হিসেবে। এই পরিচয়ের আড়ালে তাঁরা মাদকের ব্যবসা করেন। গত মঙ্গলবার সিলেটের বিয়ানীবাজার এলাকায় তাঁরা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। উদ্ধার হয়েছে ১ হাজার ৮০০টি ইয়াবা বড়ি।

আটক হওয়া দুজনের মধ্যে আমির হোসেনের (৩২) বাড়ি সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা জকিগঞ্জের বীরশ্রী গ্রামে। তাঁর বোন পরিচয় দেওয়া নারীর (৩৮) বাড়ি বিয়ানীবাজারের একটি গ্রামে।

পুলিশ বলছে, বিয়ানীবাজার উপজেলার সীমান্ত এলাকায় নির্বিঘ্নে মাদক ব্যবসা করে আসছিলেন ওই দুজন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁরা ভাইবোন পরিচয়ে একটি অটোরিকশা ভাড়ায় নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিল ইয়াবা। তল্লাশি চালিয়ে ভাই পরিচয় দেওয়া আমির হোসেনের কাছে ১ হাজারটি এবং বোন পরিচয় দেওয়া নারীর ভ্যানিটি ব্যাগে ৮০০টি ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়।

গতকাল বুধবার জেলা পুলিশ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, উদ্ধার করা ইয়াবা ভারত থেকে আনা হয়েছিল। এগুলোর দাম প্রায় ৯ লাখ টাকা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটক হওয়া দুজন ভাইবোন পরিচয়ের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু পুলিশ এঁদের শনাক্ত করতে পারছিল না। মঙ্গলবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিয়ানীবাজারের শেওলা এলাকায় পুলিশের নিরাপত্তাচৌকিতে অবস্থান নেয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকর করের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা (নম্বর সিলেট-থ-১২-৮০৪০) নিরাপত্তাচৌকিতে আসে। সেটিতে তল্লাশি চালিয়ে আমির হোসেনের কাছ থেকে পাঁচটি নীল
রঙের বায়ুরোধক পলিপ্যাকে ১ হাজারটি ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়। তাঁর বোন পরিচয়ের নারীর ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে একই রকম চারটি প্যাকেটে পাওয়া যায় ৮০০টি ইয়াবা বড়ি।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. মাহ্বুবুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ধরা পড়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুজন ভারত থেকে আনা ইয়াবা বিক্রি করার জন্য জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে সিলেটে নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। বিয়ানীবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুল আলম বাদী হয়ে মাদক আইনে মামলা করেছেন। মামলায় আটক হওয়া দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।