পুকুর ভরাট করে চলাচলের রাস্তা!

কর্ণফুলী নদীর বালু দিয়ে পুকুর ভরাট করে চলাচলের রাস্তা করা হচ্ছে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মধ্য বেতাগী এলাকা থেকে গতকাল বুধবার তোলা। ছবি: প্রথম আলো
কর্ণফুলী নদীর বালু দিয়ে পুকুর ভরাট করে চলাচলের রাস্তা করা হচ্ছে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মধ্য বেতাগী এলাকা থেকে গতকাল বুধবার তোলা। ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় পুকুর ভরাট করে চলাচলের রাস্তা তৈরি করার অভিযোগে পরিবেশ অধিদপ্তর ও থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগকারী মো. মোরশেদ পুকুরটি স্থানীয় লোকজন নিত্য ব্যবহার করে দাবি করলেও প্রতিপক্ষ মো. হারুনুর রশিদ (৬০) বলছেন যে পুকুরটি পরিত্যক্ত। তিনি বলছেন, পুকুর নয়, পুকুরের পাড় ভরাট করে লোকজনের চলাচলের রাস্তা তৈরি করছেন।

গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের মধ্য বেতাগী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পুকুরে খুঁটি গেড়ে ড্রামশিটের ঘেরা দিয়ে স্থানীয় নদী থেকে পাইপ দিয়ে বালু তুলে পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই গ্রামের দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। বিরোধে একটি পক্ষ পুকুর ভরাট করে রাস্তা তৈরি করছে। তবে গ্রামের লোকজন জানান, পুকুরটি ব্যবহারের উপযোগী। পুকুর ভরাট করা আইন সম্মত না হলেও একপক্ষ অনেকটা একগুঁয়েমি করে এটি ভরাট করছে।

অভিযোগকারী মো. মোরশেদ আলমের দাবি, ‘৬ শতক আয়তনের পুকুরটি আমরা ও আমাদের প্রতিবেশীরা সব সময় ব্যবহার করছি। প্রতিপক্ষ জোর করে নদী থেকে ড্রেজিং করে বালু তোলে পুকুরটি ভরাট করছে।’

তবে মো. হারুনুর রশিদ দাবি করেছেন, পুকুরটিতে তাদেরও অংশ আছে। তাঁরা জনসাধারণের চলাচলের জন্য পুকুর নয়, পুকুরের পাড় ভরাট করছেন বলে জানান।

জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সোহেল বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দুষছে। পুকুর ভরাটের বিষয় তদন্ত করে দেখছি।’