গোপালগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতা: মামলায় আসামি সাত-আট শ

উপজেলা নির্বাচন–পরবর্তী সহিংসতার জেরে গোপালগঞ্জ সদরে সাত-আট শ অজ্ঞাত লোকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। বিবদমান গ্রুপগুলোর নেতারা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। জেলার পাঁচটি উপজেলায় এবার উন্মুক্ত প্রার্থী নীতিতে নির্বাচন হয়েছে।

বুধবার রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক নিতাই সরকার বাদী হয়ে এই মামলা করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবিতে করা আন্দোলনের সময় পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশ সদস্যদের আহত করা, গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধাদানের অভিযোগ আনা হয়।

২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩৭ হাজার ৬৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু। তাঁর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহামুদ হোসেন দিপু পান ৩৭ হাজার ৬২০ ভোট ও এস এম শাহ আলম পান ৩৪ হাজার ৫৯৪ ভোট। পরাজিত দুই প্রার্থী নির্বাচনের এই ফলাফল বাতিলের দাবি করে আসছেন।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ফলাফল বাতিলের দাবিতে ২৫ মার্চ রাত থেকে সেখানে পরাজিত প্রার্থীদের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। আন্দোলনকারীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে।