'হয় মাকে ফিরিয়ে আনব, নয়তো তাঁর কাছে চলে যাব'

নজরুল ইসলাম খান। প্রথম আলো ফাইল ছবি
নজরুল ইসলাম খান। প্রথম আলো ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া বিনা চিকিৎসায় তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে চলে যাবেন, আর আমরা বসে বসে আলোচনা, মুক্তির দাবি করব এটা হতে পারে না। আমাদের সিদ্ধান্ত হোক, হয় আমরা লড়াই করে মাকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনব, আর না হয় আমরা সবাই মায়ের কাছে চলে যাব।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় নজরুল ইসলাম খান এ মন্তব্য করেন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল। তিনি বলেন, যখন আওয়ামী লীগের নেতারা জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের চর বলেন, তখন তাঁরা এটা মনে রাখতে ভুলে যান, যে মানুষটিকে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ খেতাব বীরউত্তমে ভূষিত করেছিলেন তিনি তাঁদের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁরা জিয়াউর রহমানকে অসম্মান করতে গিয়ে তাঁদের নেতাকে অসম্মান করছেন, এটা তাঁরা ভাবেননি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, জিয়াউর রহমান যদি পাকিস্তানের চর হন, তাহলে তাঁকে যিনি বীরউত্তম খেতাব দিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁর (বঙ্গবন্ধু) সম্পর্ক কেমন ছিল? পাকিস্তানের একজন চরকে কে খেতাব দিলেন? এইটুকু বুদ্ধি আমাদের মন্ত্রীদের নেই।


নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য খালেদা জিয়া নয়টি বছর লড়াই করেছেন, সেই দেশের কারাগারে আজ বন্দী আছেন একটি ‘মিথ্যা’, ‘ভিত্তিহীন’ অভিযোগে। শুধু তাই নয়, তিনি দারুণভাবে অসুস্থ। তিনি হাত নাড়াতে পারেন না, পায়ে বল পান না। তিনি কিছু ধরে রাখতে পারেন না। তাঁকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, চিকিৎসকেরা তাঁকে দেখতে যাবেন এটা অনুরোধ করে হয় না। আদালতের নির্দেশে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়, তারপর তাঁরা দেখতে যান। গত সাড়ে তিন মাসে কেউ তাঁকে দেখতে যাননি। খালেদা জিয়া নানা রোগে আক্রান্ত, তাঁকে এভাবে জেলে ফেলে রাখার অর্থটা কী? উদ্দেশ্যটা কী?

কৃষক দলের আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষক দলের সদস্যসচিব হাসান জাফির, যুগ্ম আহ্বায়ক তকদির হোসেন মোহাম্মাদ জসিম, নাজিম উদ্দীন, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক নেছারুল হক, ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।