ছিলেন কলেজশিক্ষক, হলফনামায় অধ্যাপক

ঢাকার ধামরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী মিজানুর রহমান হলফনামার শুরুতেই ভুল তথ্য দিয়েছেন। ‘অধ্যাপক’ না হয়েও হলফনামায় তিনি নামের আগে এই শব্দ ব্যবহার করেছেন।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোহাদ্দেস হোসেন। ৩১ মার্চ এই উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

মিজানুর রহমান তাঁর দেওয়া হলফনামায় লিখেছেন, অধ্যাপক মিজানুর রহমান। তিনি একসময় সাভার কলেজে শিক্ষকতা করতেন। হলফনামায় মিজানুরের দেওয়া তথ্য যাচাইয়ের জন্য মোহাদ্দেস তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে ২০ মার্চ সাভার কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ মার্চ কলেজ থেকে তথ্য সরবরাহ করা হয়।

প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মিজানুর রহমান ১৯৯৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০২ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত কলেজটির ভূগোল বিভাগের খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তখন কলেজটি বেসরকারিভাবে পরিচালিত হতো।

হলফনামায় ভুল তথ্য দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্রে আমার নামের আগে অধ্যাপক রয়েছে। এ কারণে হলফনামায় আমি অধ্যাপক মিজানুর রহমান লিখেছি। তা ছাড়া অধ্যাপক হই আর প্রভাষক হই, কলেজে শিক্ষকতা করেছি, এটা তো আর মিথ্যা নয়।’

মোহাদ্দেস হোসেন বলেন, হলফনামায় মিজানুর রহমানের মিথ্যা তথ্য দেওয়ার বিষয়টি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করা হবে।

জানতে চাইলে ধামরাইয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, ‘হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার বিষয়ে আমাদের ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিতে হবে অথবা আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে।’