ঐক্যফ্রন্টের কালকের মানববন্ধন স্থগিত

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সরকারের বিভিন্ন ‘অনিয়মের’ প্রতিবাদে আগামীকাল শনিবার পূর্বঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এ ছাড়া পরদিন রোববারের আলোচনা সভার জন্য অনুমতি না পাওয়ায় এখনো স্থান নির্ধারিত হয়নি।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর আরামবাগে গণফোরামের অফিসে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে নেতারা এসব কথা জানান।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান বলেন, প্রেসক্লাবের সামনে উন্নয়নকাজের জন্য রাস্তা খনন এবং বনানীর অগ্নিকাণ্ডের জন্য আগামীকালের মানববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

আগামীকাল শনিবার সকাল ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনে তাদের এ মানববন্ধন হওয়ার কথা ছিল। এ ছাড়া ৩১মার্চ রোববার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিকেল ৩টায় আলোচনা সভার আয়োজন করতে চেয়েছিল। এখনো অনুমতি পায়নি ঐক্যফ্রন্ট।

এ ব্যাপারে মান্না বলেন, সেখানে অনুমতি না পেলে রাজধানীর যেকোনো জায়গায় তারা আলোচনা সভা করবেন।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, বনানীর দুর্ঘটনা মানবসৃষ্ট। এ ধরনের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। চকবাজার, এনটিভিসহ বিভিন্ন বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটার পরেও সরকার কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয়নি। আগুন নেভানোর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আনা ও ব্যবস্থাপনার দিকে সরকার নজর দেয়নি।

ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র রব বলেন, ঐক্যফ্রন্ট আছে এবং রাজনৈতিক কারণে থাকবে। তিনি এ বিষয়ে বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।

বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও তাঁর মুক্তি দাবি করে ঐক্যফ্রন্ট।

বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।