১০৭ উপজেলায় ভোট, ৩৯ জন চেয়ারম্যান বিনা ভোটে জয়ী

অলংকরণ : তুলি
অলংকরণ : তুলি

উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ১০৭ উপজেলায় আগামীকাল রোববার ভোট গ্রহণ করা হবে। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য এই ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

ইতিমধ্যে এই ধাপে ৩৯ জন চেয়ারম্যান বিনা ভোটে জয়ী হয়ে গেছেন। এর মধ্যে ১৫টি উপজেলার সব পদের প্রার্থীরা বিনা ভোটে জয়ী হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী এই ধাপে ১২২ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা। কিন্তু আদালতের নির্দেশে খুলনার ডুমুরিয়া, ফেনীর ছাগলনাইয়া, ময়মনসিংহের ত্রিশাল ও কুমিল্লার বরুড়ার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের অনুকূল পরিবেশ না থাকায় ইসি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও নোয়াখালীর কবিরহাটের নির্বাচন স্থগিত করেছে। এ ছাড়া তৃতীয় ধাপে স্থগিত হওয়া ছয়টি উপজেলার নির্বাচন এই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। সব মিলিয়ে এই ধাপে ১০৭ উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে।

সব পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ায় যেসব উপজেলায় ভোট গ্রহণের প্রয়োজন হবে না সেগুলো হলো—ভোলার সদর, মনপুরা ও চরফ্যাশন; যশোরের শার্শা; ময়মনসিংহের গফরগাঁও; ঢাকার সাভার ও কেরানীগঞ্জ; কুমিল্লার লাকসাম, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ, দেবীদ্বার ও চৌদ্দগ্রাম; নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও ফেনীর পরশুরাম।

এই ধাপে ৩৯ জন চেয়ারম্যান ছাড়াও বিনা ভোটে নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান আছেন ২২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ২৭ জন। এর আগে প্রথম তিন ধাপে ৬৯ জন চেয়ারম্যান বিনা ভোটে নির্বাচিত হন। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত চার ধাপে ৪৫০টি উপজেলার ১০৮ জন চেয়ারম্যান বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, যা মোট উপজেলার প্রায় এক–চতুর্থাংশ।

ইসির তথ্য অনুযায়ী, ১০৭ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩৫১, ভাইস চেয়ারম্যান ৫৩৩ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৪০৬ জন। নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৯ হাজার ৭৪০টি এবং ভোটারের সংখ্যা ২ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার ৭০৪ জন।

এই ধাপে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে পটুয়াখালীর সদর, কক্সবাজারের সদর, বাগেরহাটের সদর, ময়মনসিংহের সদর, মুন্সিগঞ্জের সদর ও ফেনীর সদর উপজেলায়।