বঙ্গোপসাগরে নোয়াখালীর চার জেলে অপহৃত, একজনকে হত্যার অভিযোগ

বঙ্গোপসাগরের সাঙ্গু গ্যাসফিল্ড এলাকা থেকে নোয়াখালীর চার জেলেকে অপহরণ করেছে জলদস্যুরা। এ সময় এক মাঝিকে গলা কেটে হত্যা করা হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুরের দিকে এই ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন জেলে আহত হয়ে কূলে ফেরেন।

‘হত্যার শিকার’ ওই মাঝির নাম আলাউদ্দিন (৪২)। আহত জেলেরা সন্ধ্যায় জাহাজমারা ঘাটে পৌঁছালে ঘটনাটি জানাজানি হয়। আলাউদ্দিন মাঝির গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতি এলাকায়।

হাতিয়ার জাহাজমারা বোট মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, অপহরণের শিকার চার জেলে হলেন জাহাজমারা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জামসেদ, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মোস্তফা, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. কাইয়ুম ও আবুল খায়ের।

বোট মালিক সমিতি সূত্র জানায়, বেলা একটার দিকে রামগতির মুক্তার আলো নামের নৌকার জেলেরা প্রথমে দস্যুর কবলে পড়েন। এ সময় দস্যুরা আলাউদ্দিন মাঝিকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে লাশ সাগরে ফেলে দেয়। আর অন্য জেলেরা সাগরে ঝাঁপিয়ে আত্মরক্ষা করেন। বোট মালিক সমিতির ভাষ্য, জলদস্যুদের দলটি চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকার।

বেঁচে আসা জেলেদের বরাত দিয়ে বোট মালিক সমিতির কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রথম ঘটনার পর একই দস্যু দল ওই এলাকায় থাকা হাতিয়ার চারটি নৌকায় ডাকাতি করে। এ সময় তারা নৌকা থেকে মাছ ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিস লুট করার পাশাপাশি চার জেলেকে অপহরণ করে। দ্বিতীয় ঘটনায়ও বেশ কয়েকজন জেলে সাগরে ঝাঁপ দেন। পরে অন্য নৌকার জেলেরা তাঁদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

ডাকাতির বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ডের হাতিয়া স্টেশনের প্রধান লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম। শনিবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে তিনি বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাঁরা ঘটনাটি জানতে পেরেছেন। অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে তাঁরা মেঘনা নদীতে তৎপরতা চালাচ্ছেন।

জাহাজমারা বোট মালিক সমিতির অর্থ সম্পাদক নবীর উদ্দিন বলেন, দুপুরের দিকে অপহরণ ঘটনা ঘটলেও রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত তাঁদের কাছে কেউ মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করেনি।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান সিকদার বলেন, চার জেলে অপহরণের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে তাঁরা কোস্টগার্ডের সঙ্গে কথা বলেছেন।