ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

সৌমিক মিত্র
সৌমিক মিত্র

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় সৌমিক মিত্র সবুজ (২২) নামের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। সৌমিক মিত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

সৌমিকের পরিবারের দাবি, একটি কোর্সের পরীক্ষায় নম্বর কম পাওয়ায় সবুজ আত্মহত্যা করেছেন। গত শুক্রবার ভোরে গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে একটি আমগাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সৌমিক ওই গ্রামের মৃত নিরঞ্জন মিত্রের ছেলে। চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সৌমিক সবার ছোট। সবুজের বড় ভাই নির্মল চন্দ্র মিত্র বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র। তাঁরা দুই ভাই জগন্নাথ হলে থাকেন। সৌমিক স্থানীয় বাঁশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং চিকনিকান্দী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। দুই পরীক্ষাতেই তিনি জিপিএ-৫ পান।

সৌমিকের ভগ্নিপতি গলাচিপা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক ঝন্টু দেবনাথ অভিযোগ করেন, সবুজ প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় বিভাগে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছিলেন। তৃতীয় সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষার একটি বিষয়ে সৌমিক ১৫ নম্বরের মধ্যে ১২ পান। কিন্তু অপর একটি বিষয়ের পরীক্ষায় মাত্র ৫ নম্বর পান। সৌমিকের হাতের লেখা খারাপ, তাই নম্বর কম পেয়েছে বলে বিভাগের শিক্ষক মন্তব্য করলে মনঃক্ষুণ্ন হন সৌমিক। পরে সৌমিক তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘হাতের লেখা এত গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে স্ট্যাটাস দেন।

সবুজের আরেক ভগ্নিপতি দুলাল মল্লিক জানান, বৃহস্পতিবার সকালে সবুজ ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন। তাঁকে সব সময় মনমরা দেখা গেছে। অন্যদের সঙ্গে রাতে খাবার খেয়ে সৌমিক ঘুমিয়ে পড়েন। শুক্রবার ভোরে বসতঘরের পেছনে আমগাছের উঁচু ডালে গলায় রশি দেওয়া অবস্থায় সৌমিককে ঝুলে থাকতে দেখেন তাঁর বড় বোন সাবিত্রী রানী।

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার মোর্শেদ বলেন, সৌমিকের লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।