রূপগঞ্জে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে ভোট

ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারা অভিযোগ উঠেছে। ছবি: প্রথম আলো
ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারা অভিযোগ উঠেছে। ছবি: প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার একটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। আজ রোববার দেশব্যাপী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে রূপগঞ্জ উপজেলার গন্ধর্বপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুর হামিদ তালুকদার জানান, এক যুবক এসে ভোটকেন্দ্র ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নৌকা, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাঁস প্রতীকে ভোট দেওয়া শুরু করেন। ওই যুবক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের ব্যালট পেপারের তিনটি বই ছিনিয়ে নিয়ে ভোট দেন। একেকটি বইয়ে ৪১টি করে পাতা ছিল।

এ ঘটনার পর দুপুর ১২টা থেকে বেলা পৌনে ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ স্থগিত ছিল। পরে বেলা দুইটা থেকে আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

রূপগঞ্জ উপজেলায় নৌকা মার্কায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা মার্কায় শাহরিয়ার পান্না ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাঁস প্রতীক নিয়ে দাঁড়িয়েছেন ফেরদৌসী আলম মিলা। তাঁদের তিনজনের পক্ষে ৪১টি করে মোট ১২৩টি ভোট দেওয়া হয়।

ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারা অভিযোগ উঠেছে। ছবি: প্রথম আলো
ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারা অভিযোগ উঠেছে। ছবি: প্রথম আলো

ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার খবর পেয়ে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও পুলিশ এসে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে। সিল মারা ব্যালট পেপার বাতিল করা হবে বলে জানান প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যে যুবক ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়েছেন, তাঁর নাম আবু তাহের। তাঁর বাবার নাম সাহেব আলী। তাহের গন্ধর্বপুরের বাসিন্দা। তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহজাহানের সমর্থক বলে জানায় স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।

এদিকে জাল ভোট ও ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ জানিয়ে আনারস মার্কায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কাজী তমাল তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।