সেবা সংস্থাগুলোর দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে: মেয়র

স্টেট ইউনিভার্সিটির আয়োজনে এক বৈঠকে বক্তব্য রাখছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। ছবি: প্রথম আলো
স্টেট ইউনিভার্সিটির আয়োজনে এক বৈঠকে বক্তব্য রাখছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। ছবি: প্রথম আলো

নগরীর জনসংখ্যা ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের সঙ্গে সরকারের সেবা সংস্থাগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়েনি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

আজ রোববার দুপুরে কলাবাগানে এক গোলটেবিল বৈঠকে মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এ মন্তব্য করেন। ‘ফায়ার হ্যাজার্ড, সেফ ম্যানেজমেন্ট, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এই বৈঠকের আয়োজন করেছে স্টেট ইউনিভার্সিটি।

সাঈদ খোকন বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ জীবন ও জীবিকার তাগিদে ঢাকা শহরে আসছে। কিন্তু জনসংখ্যা উন্নয়নে সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে আন্তসমন্বয়ে দুর্বলতা রয়েছে। ফলে নগর ব্যবস্থাপনায় নানা ঘাটতি দৃশ্যমান হচ্ছে। এই প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা সব সংস্থাকে কাটিয়ে তুলতে হবে। নাগরিকদের সেবার মান সব সংস্থাকে সমন্বিতভাবে নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, যাঁরা নতুন ঢাকায় আসেন, তাঁদের অনেকের মধ্যেই অসচেতনতা কাজ করে। তা থাকাটাই স্বাভাবিক। শহুরের অনেক শিক্ষিত মানুষের মধ্যেও অসচেতনতা দেখা যায়। যার কারণে সড়ক বা অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটে। সবাই সচেতন হলে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব। তা হলেই এই শহরকে একটি বাসযোগ্য নিরাপদ ও সুন্দর শহরে পরিণত করা যাবে।

ডিএসসিসির মেয়র বলেন, নগরীতে ব্যবসার প্রসার ঘটুক, সেটা সবাই চায়। এই ব্যবসা হবে জীবনের জন্য। কিন্তু জীবনহানি ঘটে, জীবন হুমকির মধ্যে পড়ে, এমন ব্যবসা নগর কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই মেনে নেবে না। প্রতিটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে অগ্নি প্রতিরোধে সচেতন হতে হবে। ফায়ার ডিসটিংগুইশারসহ অগ্নি নির্বাপণের সব ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে আগুন লাগার প্রথম ১৫ মিনিটে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এতে জীবন ও সম্পদ দুইটাই রক্ষা পাবে।

স্টেট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য সাঈদ সালামের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন।