বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে আইন মানতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ফাইল ছবি
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ফাইল ছবি

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ২০১০ সালের প্রণীত আইন যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিভিন্ন সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এই আইন মেনে চলতে হবে।

আজ রোববার চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। কিং অব চিটাগং কমিউনিটি সেন্টারে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সরকার সব সময় যুগোপযোগী ও মানসম্মত শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, সরকার জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে কাজ করছে। এ জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার মানকে দিতে হবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব।

ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীন চিন্তা আর সৃজনশীলতার পাশাপাশি তোমাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকতে হবে। আর আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো সুযোগ নেই। কারণ তোমাদের দেশ গড়ার মহান ব্রত নিয়ে এগোতে হবে।’

সমাবর্তন বক্তার বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে আজাদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। এ ছাড়া বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নুরল আনোয়ার। ডিগ্রি পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন ‘ফাউন্ডার অ্যান্ড চেয়ারম্যান স্বর্ণপদক’ পাওয়া ফারজানা আরেফীন।

সমাবর্তন বক্তা এ কে আজাদ চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, কয়েক একর জায়গা আছে, বেশ কিছু ভবন আছে। কিন্তু যোগ্য শিক্ষক নেই। এ রকম হলে কখনো সেটি দক্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে পারবে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে মিথস্ক্রিয়া বাড়াতে হবে।

এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, শিক্ষার মান উন্নত করার পেছনে বেশ কিছু বিষয় জড়িত। এর মধ্যে শিক্ষকের মান, শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত বিশ্বমান রাখা এবং ক্যাম্পাসের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ একাডেমিক পাঠ্যক্রমের মানদণ্ড উন্নত রাখা জরুরি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সক্ষমতা বেড়েছে। রাজনৈতিক মতাদর্শ আর সামাজিক পরিচয় ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে সর্বোচ্চ দায়িত্ব নিতে হবে।

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ছয় বছরও হয়নি, ইতিমধ্যে ৭ হাজারের কাছাকাছি শিক্ষার্থী আছে। দুই বছর আগে কল্পলোক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জায়গা নেওয়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।

সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে ২ হাজার ৮৮ শিক্ষার্থী ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তাঁদের মধ্যে সাতজনকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক এবং ১২ জনকে ‘ফাউন্ডার অ্যান্ড চেয়ারম্যান’ স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।