এক মেয়েকে হত্যা, স্ত্রী ও দুই মেয়েকে কুপিয়ে জখম

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পঞ্চগড়ে নাজিমুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তি ছয় মাসের মেয়েকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে স্ত্রী ও বাকি দুই মেয়ে আহত হয়েছে। আজ সোমবার সকালে জেলার সদর উপজেলার পূর্বজয়ধরভাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই নাজিমুল পলাতক আছেন।

গুরুতর আহত ব্যক্তিরা হলেন নাজিমুল ইসলামের স্ত্রী রশিদা আক্তার (৩০), তাঁর বড় মেয়ে নাজিরা আক্তার (১০) ও মেজো মেয়ে রিয়া মনি (৫)। আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই এলাকার লোকজন বাড়িতে গুরুতর আহত অবস্থায় গৃহবধূ ও তাঁর দুই মেয়েকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে নিয়ে যান এবং পুলিশে খবর দেন। পরে তাদের তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

চাকলাহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আইনুল হক বলেন, স্বামী নাজিমুলের সঙ্গে স্ত্রী রশিদা বেগমের প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদের ঘটনা ঘটত। আজ সকালে এসব কারণেই স্ত্রী ও বড় দুই মেয়েকে কুপিয়ে তিনি পালিয়ে যান বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর ছয় মাস বয়সী ছোট মেয়ে রত্না আক্তারকে আছাড় মেরে বা শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নাজিমুল ইসলামের শ্বশুর রশিদুল ইসলামের ভাষ্য, প্রায় ১১/১২ বছর আগে মেয়ে রশিদার বিয়ে দিই। নাজিমুল মেয়ের ওপর নির্যাতন করতেন। জামাতার এমন কর্মকাণ্ডের বিচার চান তিনি।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মনসুর আলম বলেন, সকাল পৌনে ১০টার দিকে চারজন রোগী জরুরি বিভাগে আসেন। এর মধ্যে ৬ মাসের শিশুটি মৃত ছিল। বাকি তিনজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। শিশুটির ময়নাতদন্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাঈমুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান চলছে। অভিযুক্ত স্বামী নাজিমুলকে আটকের চেষ্টা চলছে।